সুন্দরবনে রাজস্ব দ্বিগুণ হওয়ায়,বিপাকে বনজীবী- পর্যটক

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি

৫ মার্চ, ২০২২, ২ years আগে

সুন্দরবনে রাজস্ব দ্বিগুণ হওয়ায়,বিপাকে বনজীবী- পর্যটক

সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলে বসবাসকারীদের জীবিকার মাধ্যম সুন্দরবনের বনজীবিদের রাজস্ব বেড়েছে দ্বিগুণ,সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের ও রাজস্ব বেড়েছে সমহারে। এছাড়া গোলপাতা-কাঁকড়ায় রাজস্ব বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। ভ্রমণ মৌসুমের শেষ সময়ে বনবিভাগের এই সিদ্ধান্তে জেলে-বাওয়ালী, বনজীবি, পর্যটন ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত ও বনের উপর নির্ভরশীল উপকূলীয় বনজীবীরাও পড়েছেন চরম শঙ্কায়। বন মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপনে ধার্য করা রাজস্বের তালিকা থেকে জানা যায়, সুন্দরবনের সাধারণ জায়গাগুলোতে মাথাপিছু দেশি পর্যটকের ভ্রমণ ফি ছিল প্রতিদিনের জন্য ৭০ টাকা, সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা,বিদেশি পর্যটকের আগে রাজস্ব দিতে হত প্রতিদিন ১০০০ টাকা,এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০০ টাকা।

আগে সুন্দরবনের ভেতরে কটকা, কচিখালী, নীলকমল, হিরণ পয়েন্ট, নোটাবেকী, পুষ্পকাঠি, মান্দারবাড়িয়া, হলদেবুনিয়ার মতো সরকারঘোষিত অভয়ারণ্যে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের প্রতিদিন ভ্রমণ ফি দিতে হতো যথাক্রমে ১৫০ ও ১৫০০ টাকা। এখন তা দ্বিগুণ বেড়ে যথাক্রমে ৩০০ ও ৩০০০ টাকা হয়েছে। অবস্থান ফি ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, একদিনের পাসে কলাগাছিয়া ট্যুরিস্ট কেন্দ্রে ২০ টাকার ফি ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি গাইড ফি ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫০ টাকা। নিরাপত্তা গার্ড ফি ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও সবকিছুর ওপর রয়েছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট।

সরকারের নতুন এসব সিদ্ধান্তে ক্ষতির মুখে পড়বে পর্যটন শিল্প,এমন দাবি করেন পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা,প্রতিবেদনের সময় বেশ কয়েকজন পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা জানান, রাজস্ব বৃদ্ধিতে পর্যটন শিল্পের উপর প্রভাব পড়েছে,দেশি- বিদেশি পর্যটক যাতে কম খরচে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারেন, সেদিকে উপর মহলের নজর রাখা জরুরি।

কথা হয় উপকূলীয় অঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার স্কুল,কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা, সচেতন নাগরিক সমাজের কয়েকজনের সাথে, জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে ট্যুর অপারেটররা গত ২ বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,এবং গত কয়েক মাস জেলেদের ও মাছ ধরা বন্ধ ছিল, এবছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তারা ফের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন,এখন আবার বনবিভাগ রাজস্ব বৃদ্ধি করায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

একইসঙ্গে সুন্দরবনে পর্যটনের পাশাপাশি দুবলার চরে রাসমেলায় পুণ্যার্থী ও সুন্দরবনে সব ধরনের বনজীবীদের জন্যও নতুন রাজস্ব হার নির্ধারণ করে দিয়েছে বন বিভাগ।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী,গোলপাতা প্রতি কুইন্টাল ২৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের ভেটকি মাছের রাজস্ব প্রতি কুইন্টালে ১২০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা ও কাঁকড়া কুইন্টাল প্রতি ২৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে,দৈনিক সাতঘরিয়া পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহকালে কৈখালী,টেংরাখালী,মুন্সিগঞ্জের কয়েকজন বনজীবী জেলে বাওয়ালীদের সাক্ষাৎকালে বলেন,প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পান-ইয়াসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি।

করোনায় কাঁকড়াসহ মাছের দাম পড়ে যায়। অনেকাংশে কমে যায় চাহিদা,অপরদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপক বেড়েছে,সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদের,এরইমধ্যে বনবিভাগ দ্বিগুণের বেশি রাজস্ব বৃদ্ধি করে উপকূলীয় অঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন জেলে বাওয়ালীদের কষ্ট বেড়েই চলেছে।

সুন্দরবন কৈখালী ফরেস্ট স্টেশম কর্মকর্তা হারুন অর-রশিদ বেপারী বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে সবার ক্ষেত্রেই রাজস্ব বৃদ্ধি করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলো,এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া,এর আগে ২০১১ সালে রাজস্ব বাড়ানো হয়েছিল,সব ক্ষেত্রেই রাজস্ব বেড়েছে,আমাদের তো দীর্ঘদিন পরে বাড়ল, এতে বনজীবী কিংবা পর্যটক কারও উপর তেমন চাপ পড়বে না বলেও তিনি মনে করেন।

পত্রিকা একাত্তর / সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলে বসবাসকারীদের জীবিকার মাধ্যম সুন্দরবনের বনজীবিদের রাজস্ব বেড়েছে দ্বিগুণ,সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের ও রাজস্ব বেড়েছে সমহারে,এছাড়া গোলপাতা-কাঁকড়ায় রাজস্ব বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ,ভ্রমণ মৌসুমের শেষ সময়ে বনবিভাগের এই সিদ্ধান্তে জেলে-বাওয়ালী,বনজীবি,পর্যটন ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত ও বনের উপর নির্ভরশীল উপকূলীয় বনজীবীরাও পড়েছেন চরম শঙ্কায়,বন মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপনে ধার্য করা রাজস্বের তালিকা থেকে জানা যায়, সুন্দরবনের সাধারণ জায়গাগুলোতে মাথাপিছু দেশি পর্যটকের ভ্রমণ ফি ছিল প্রতিদিনের জন্য ৭০ টাকা, সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা,বিদেশি পর্যটকের আগে রাজস্ব দিতে হত প্রতিদিন ১০০০ টাকা,এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০০ টাকা।

আগে সুন্দরবনের ভেতরে কটকা, কচিখালী, নীলকমল, হিরণ পয়েন্ট, নোটাবেকী, পুষ্পকাঠি, মান্দারবাড়িয়া, হলদেবুনিয়ার মতো সরকারঘোষিত অভয়ারণ্যে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের প্রতিদিন ভ্রমণ ফি দিতে হতো যথাক্রমে ১৫০ ও ১৫০০ টাকা। এখন তা দ্বিগুণ বেড়ে যথাক্রমে ৩০০ ও ৩০০০ টাকা হয়েছে। অবস্থান ফি ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, একদিনের পাসে কলাগাছিয়া ট্যুরিস্ট কেন্দ্রে ২০ টাকার ফি ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি গাইড ফি ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫০ টাকা। নিরাপত্তা গার্ড ফি ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও সবকিছুর ওপর রয়েছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট।

সরকারের নতুন এসব সিদ্ধান্তে ক্ষতির মুখে পড়বে পর্যটন শিল্প,এমন দাবি করেন পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা,প্রতিবেদনের সময় বেশ কয়েকজন পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা জানান, রাজস্ব বৃদ্ধিতে পর্যটন শিল্পের উপর প্রভাব পড়েছে,দেশি- বিদেশি পর্যটক যাতে কম খরচে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারেন, সেদিকে উপর মহলের নজর রাখা জরুরি।

কথা হয় উপকূলীয় অঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার স্কুল,কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা, সচেতন নাগরিক সমাজের কয়েকজনের সাথে, জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে ট্যুর অপারেটররা গত ২ বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন,এবং গত কয়েক মাস জেলেদের ও মাছ ধরা বন্ধ ছিল, এবছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তারা ফের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন,এখন আবার বনবিভাগ রাজস্ব বৃদ্ধি করায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

একইসঙ্গে সুন্দরবনে পর্যটনের পাশাপাশি দুবলার চরে রাসমেলায় পুণ্যার্থী ও সুন্দরবনে সব ধরনের বনজীবীদের জন্যও নতুন রাজস্ব হার নির্ধারণ করে দিয়েছে বন বিভাগ।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী,গোলপাতা প্রতি কুইন্টাল ২৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের ভেটকি মাছের রাজস্ব প্রতি কুইন্টালে ১২০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা ও কাঁকড়া কুইন্টাল প্রতি ২৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে,দৈনিক সাতঘরিয়া পত্রিকার সংবাদ সংগ্রহকালে কৈখালী,টেংরাখালী,মুন্সিগঞ্জের কয়েকজন বনজীবী জেলে বাওয়ালীদের সাক্ষাৎকালে বলেন,প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পান-ইয়াসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি।

করোনায় কাঁকড়াসহ মাছের দাম পড়ে যায়। অনেকাংশে কমে যায় চাহিদা,অপরদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপক বেড়েছে,সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে আমাদের,এরইমধ্যে বনবিভাগ দ্বিগুণের বেশি রাজস্ব বৃদ্ধি করে উপকূলীয় অঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন জেলে বাওয়ালীদের কষ্ট বেড়েই চলেছে।

সুন্দরবন কৈখালী ফরেস্ট স্টেশম কর্মকর্তা হারুন অর-রশিদ বেপারী বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে সবার ক্ষেত্রেই রাজস্ব বৃদ্ধি করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলো,এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া,এর আগে ২০১১ সালে রাজস্ব বাড়ানো হয়েছিল,সব ক্ষেত্রেই রাজস্ব বেড়েছে,আমাদের তো দীর্ঘদিন পরে বাড়ল, এতে বনজীবী কিংবা পর্যটক কারও উপর তেমন চাপ পড়বে না বলেও তিনি মনে করেন।

পত্রিকা একাত্তর / মোঃ আলফাত হোসেন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news