কৈখালীতে কোভিড-১৯ টিকাদানে উৎসবমুখর ভিড়

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি

২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

কৈখালীতে কোভিড-১৯ টিকাদানে উৎসবমুখর ভিড়

জেলার শ্যামনগরের কৈখালীতে কোভিড ১৯ প্রথম ডোজ টিকাদানে উৎসবমুখর ভিড়। মাত্র ১২ ঘন্টার ভিতরে দেশের এক কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

আজ (শনিবার) শুরু হয়েছে গণটিকাদানের এই প্রথম ডোজের কার্যক্রম। জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নিবন্ধন ছাড়াই টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে আজ। এসব কাগজপত্র না থাকায় বা বয়স কম ও অন্য সমস্যার কারণে যারা এতদিন টিকা নিতে পারেননি তারা আজ কেন্দ্রে উৎসবমুখর ভিড় করছেন।

সব বয়সের নারী-পুরুষ ব্যাপক উৎসাহ আর মনের আনন্দ নিয়ে টিকা দিতে আসছেন। ফলে ভোর থেকেই টিকাকেন্দ্রে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

কৈখালীর যে কেন্দ্র থেকে এই গণটিকা দেয়া হচ্ছে তার একটি পূর্ব কৈখালী ৭২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই কৈখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন বয়সের বাসিন্দারা এই কেন্দ্রে এসে ভিড় করেন।

টিকাকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকেই জানান, কেউ কেউ ফজরের নামাজ পড়ে এসেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তবে সকাল ০৯ টার আগে কেউ টিকা পাননি। কারণ নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রটিতে সকাল ০৯ টার পর টিকা দেয়া শুরু হয়।

টিকা নিতে আসা কয়েকজন বলেন, আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গিয়েছিলো ও জন্মনিবন্ধন সনদ ছিল না এইরকম নানা অজুহাতে আগে টিকা দিতে পারিনি। এখন জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেয়া যাচ্ছে। তাই টিকা নিতে চলে এসেছি। তারা জানায় আজকের কোভিড ১৯ প্রথম ডোজ টিকা যেন ঈদের আনন্দের মত মহা উৎসবের মত লাগতেছে।

একদিকে আবার কয়েকজন দিনমজুরি বলেন, আগে অবহেলা করে টিকা নেয়া হয়নি। জেলার বাহিরে বিভিন্ন কাজে-কামে নিজ জেলায় না থাকতে পারায় সঠিক সময়ে টিকা গ্রহণ গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এখন টিকা নেয়ার জন্য আমরা নিজ জেলা হতে অন্য জেলাত কাজে গেলে মালিক পক্ষ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাপ দিচ্ছে পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। আবার আজকের পর টিকার প্রথম ডোজ পাওয়া যাবে না বলে শুনছি। তাই সমস্ত কাজ ফেলে বাড়িতে এসে আজ টিকা নিতে এসেছি।

ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জি এম খাজা মঈনুদ্দিন বলেন, টিকা নিতে আজ মানুষের অনেক ভিড় হবে আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। এজন্য একটু সকাল করেই চলে এসেছি- (এইচএ) -সৌরভ মন্ডল

(সিএইচ সিপি)-মিস আরিফা খাতুন,(এমএইচভি)-মোঃ মনির হোসাইন সহ সর্বমোট ৯ জন কর্মীদের সকলের সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় আজকের গণটিকা সেবা কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সফল হয়।

পত্রিকা একাত্তর/মোঃ আলফাত

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news