জামালপুরের মেলান্দহে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারী ) সন্ধায় উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বাসেদেবপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করেন ইউএনও।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কনের চাচা আঃ রশিদ-কে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৫ এর ৩ উপ- ধারায় দুই হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ ধারায় ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে বিয়ে না দিতে কনে পক্ষের নিকট মুচেলিকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করার সাথে সাথে বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন তিনি। বাল্য বিয়ের পিড়িতে বসতে যাওয়া ওই কিশোরী বাসেদেবপুর এলাকার শহীদ সেকের মেয়ে বয়স ১৫। সে স্থাণীয় একটি স্কুলে ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করে।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর রাখছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত।
পত্রিকা একাত্তর/ সাকিব আল হাসান নাহিদ