বানিয়াচংয়ে হাওয়া নদী ও উজানসুটা নদী তাজু বাহিনীর অবৈধ দখলে মাছ লুট

উপজেলা প্রতিনিধি, বানিয়াচং

২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

বানিয়াচংয়ে হাওয়া নদী ও উজানসুটা নদী তাজু বাহিনীর অবৈধ দখলে মাছ লুট

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাওরে হাওয়া নদী ও উজান সুঠা নদী থেকে অবৈধভাবে জোরপূর্বক মাছ আহরণ করছে স্থানীয় দূর্বৃত্ত তাজু বাহিনী।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে নদীটি সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জোরপূর্বক নদী দখল করে মাছ শিকারের সত্যতা পাওয়া যায়।

শুধু মাছ শিকারই নয় ইজারাদার মোহনা মৎস্যজীবি সমিতির লোকজনকে মারপিঠ করে ৩টি মোটর সাইকেল ছিনতাই করে নদীতে ফেলে দেয় এবং প্রাণে হত্যার চেষ্টাও চালিয়েছে তাজু বাহিনী।

মোটর সাইকেল ছিনতাই এবং লোকজনকে মারপিঠের ঘটনায় বিগত ২৬ জানুয়ারি জিআর মামলা নং ১৩/২২ ইং দায়ের করা হয়েছে। মৎস্যজীবি সমিতির পক্ষে অংশীদার প্রিয়তোষ রঞ্জন দেব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তাজুর চাচা খাজা হোসেন (৫৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন বানিয়াচং থানা পুলিশ।

ওই সন্ত্রাসী খাজা জেল থেকে বের হয়েই বর্তমানে ইজারাদারদের বিল লুটপাট করে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

সরকারী তথ্য অনুযায়ী, বানিয়াচংয়ের মিনাট গ্রামের মোহনা মৎস্যজীবি সমিতি ১৪২৮-১৪৩০ বাংলা পর্যন্ত মাছ আহরনের জন্য সরকারীভাবে ৪৭ হাজার ৭৭৫ টাকায় ইজারা নেন ওই নদীটি।

কিন্তু সন্ত্রাসী তাজু বাহিনীর লোকজনের হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে বৈধভাবে লীজ নিয়েও প্রকৃত ইজারাদার মাছ আহরণ করতে পারছেন না। তাজুর লোকজন কে কোন প্রকার ইজারার বৈধ কোন কাগজপত্র আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, লীজ নেওয়ার কোন কাগজপত্র নাই।

তবে হাইকোর্টের মামলার কাগজ আছে। স্থানীয় বাগহাতা গ্রামের,এরশাদ আলী,হাবিবুর রহমান ও সৈকত আলী জানান, তাজু মিয়ার নেতৃত্বে মেশিন লাগিয়ে হাওয়া নদী উজানসুঠা সেচ করা হচ্ছে এবং মাছ শিকার করা হচ্ছে।

তাজু বাহিনীর লোকজন এবিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, নদীটিতে খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকফ এষ্টেটর অংশ রয়েছে।অথচ ১৯/১১/২০১৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে একপত্র মারফত খান বাহাদুর এহিয়া ওয়াকফ এষ্টেট কে লীজ না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মোহনা মৎস্যজীবি সমিতির লোকজন সাংবাদিকদের জানান,নদীটি ইজারা নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ছোট মাছ ছাড়া হয়েছে।

পাহারাদার এবং পর্যাপ্ত শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন মাছ ধরার সময়। অথচ তাজু বাহিনীর জন্য মাছ শিকার করতে পারছিনা।তাদের দাবী তাজু বাহিনী তাদের লোকজনকে মারপিঠ করে তাড়িয়ে দিয়ে ভূয়া কাগজ দেখিয়ে জোরপূর্বক সেচের মাধ্যমে মাছ আহরণ করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরান হোসেন বলেন তাজুর লোকজন হাইকোর্টর স্থগিতাদেশের কাগজ দেখাচ্ছে। আমি এর বাইরে কিছুই বলতে পারবোনা।

এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ'র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

পত্রিকা একাত্তর/ আকিকুর রহমান রুমন।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news