কোটচাঁদপুরে ট্যাগ অফিসার বিহীন চলছে ওএমএস’র চাল-আটা বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার

স্টাফ রিপোর্টার

১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

কোটচাঁদপুরে ট্যাগ অফিসার বিহীন চলছে ওএমএস’র চাল-আটা বিক্রি
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নিয়োগপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার অনুপস্থিতিতে ওএমএস"র চাল-আটা বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে ওএমএস ডিলারগণ এই চাল আটা বিক্রয়ের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার চারটি স্পটে চারজন ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে ওএমএস’র চাল-আটা বিক্রি শুরু হয়েছে।

প্রতি ডিলারকে প্রতিদিন এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা বরাদ্দ দিয়ে জনপ্রতি ৫ কেজি বিক্রির শর্তে চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকা দরে এবং প্রতিজন ক্রেতাকে স্বাক্ষর বা টিপসহি নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, বাজারে চাল ও আটার দাম বেশি থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারদের অনুপস্থিতির সুযোগে অসাধু ডিলারগণ সমুদয় চাল ও আটা নির্দিষ্ট নিয়মে বিক্রি না করে মাস্টার রুলের খাতায় নিজে ক্রেতার স্বাক্ষর ও টিপ সহি ব্যবহার করে মালামালের স্টক দেখিয়ে থাকেন। পরে ওই সব মালামাল সিন্ডিকেটের কাছে কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

সরেজমিনে দেখতে পাই পৌরসভার কলেজ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ওএমএস ডিলার মোঃ আতিয়ার গাজী বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, লাইন ধরে চাল-আটা ক্রয় করছেন ক্রেতারা।এরই ভিতরে ডিলার নিজে এক ক্রেতাকে দিয়ে অধিক স্থানে টিপসহি করিয়ে নিচ্ছেন।

জনমনে প্রশ্ন ওঠে, কেন একটির জায়গায় অধিক টিপসহি নিচ্ছে। তাহলে কি কালো বাজারে বরাদ্দকৃত চাল আটা বিক্রির মাষ্টার রুলের খাতা সঠিক করছে।

এমনও প্রশ্ন পৌর এলাকার হাজারো সাধারণ মানুষের মনে। ওদিকে বাকি ডিলার গুলো বিক্রয় কেন্দ্রে সকাল ১১-১২ টা না বাজতেই চাল আটা দেওয়া কার্যক্রম শেষ। যেখানে প্রতি একজন ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক মালামাল দিতে এক মিনিট সময় ধরলেও সর্বনিম্ম ৩ থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগে, আর সেখানে ২ ঘন্টার ভিতরে ডিলার তার নির্ধারিত স্টক শেষ করে দিচ্ছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগ কোটচাঁদপুর উপজেলা খাদ্য অফিস ও সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুজনারই বাসা বাইরে,একজন চুয়াডাঙ্গা থেকে আসেন অন্যজন যশোর থেকে আসেন, অফিসারদের আসা যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ডিলারগণ সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে অবৈধ পথে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীর জোর দাবি জানাই, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুজনাই যদি তাদের চাকরি স্থলে নিয়মিত থেকে তদারকি করে তাহলে সরকারের বরাদ্দকৃত চাল আটা সাধারণ মানুষের মাঝে সঠিকভাবে বন্টন হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকির হোসেন জানান, যদি কোন ও এম এস ডিলার নিয়ম ভঙ্গ করে কালো বাজারে অবৈধ ভাবে চাল আটা বিক্রয়ের অভিযোগ পাই ও তার সঠিক প্রনাম সম্মুখ্যে আসে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তার ডিলারশিফ বাতিল ঘোষনা করবো। এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা করবো।

পত্রিকা একাত্তর/মোঃ রমজান আলী

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news