১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী আজকের এই দিনে বিএনপির একদলীয় নির্বাচনে হরিনাকুন্ডু উপজেলার ভাতুড়িয়া ভোট কেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আলতামতি। রেখে যায় তার নাবালক দুই শিশু সন্তান। বড় ছেলে রিপনের বয়স ৪ বছর এবং ছোট ছেলে শিপনের বয়স তখন ৪মাস। অনেক কষ্টে শিষ্টে মানুষ হয়েছে তারা। একই বছর ১২জুন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১লক্ষ টাকা পারিবারিক অনুদান দেন।
তাছাড়া সেসময় পারিবারিক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দুই তিন বছর মৃত্যু বার্ষিকীও পালন করা হয়েছে। কিন্তু এর পর আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় আসার পরেও আর কোনদিন কোন নেতা খোঁজ নেই নি সেই এতিমদের। তাদের কপালে একটা পিয়নের চাকুরীও জোটেনি। দেশে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটায় হাজার হাজার মানুষের চাকুরী হচ্ছে, পরিবার পাচ্ছে নানান সুযোগ সুবিধা। এইদিনে নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশে ১২জন নিহত হয়েছিল।
আমাদের পরিবারের দাবি এই ১২জন কে শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সন্তান স্বজনদের সরকারি চাকুরী ও অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হোক। আজকের এই দিন এই শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
পত্রিকা একাত্তর/ উদয়