সরকারী বন্দবস্ত পাওয়া জমিতে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধি, হরিনাকুণ্ডু

৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

সরকারী বন্দবস্ত পাওয়া জমিতে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নে ভূমিহীনদের বসবাসের জন্য সরকারী ভাবে ৯৯বছরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া জমিতে ঘর নির্মানে বাধা দেওয়া এবং চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও জমির মালিকানা সূত্রে জানা যায় ১৯৮৬-৮৭ সালে হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর মৌজায় ৭০শতক জমি ৭জন ভূমিহীনের মধ্যে সরকারী ভাবে ৯৯ বছরের জন্য বরাদ্দদেয়। ৭ভূমিহীন ব্যক্তির মধ্যে মৃত আফসার মন্ডলের স্ত্রী পেঙ্গিরনের নামে ১০ শতক বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং ১৯৯০সালে তাদের নিজ নামে নামপত্তন করে। পেঙ্গিরণ সেখানে শত কষ্টে শিষ্টে টিনের চালার খুপরি বানিয়ে বসবাস শুরু করে এবং তার মৃত্যুর পরেও তারই ওয়ারিশ বিধবা মেয়ে জামেলা ও নবিরন এবং ভায়ের ছেলে আশরাফুল সেখানে অতিকষ্টে বসবাস করে আসছে। এই ভূমিহীন পল্লী হঠাৎ পাড়ায় এখন অনেকেই পাঁকা দালান করে বসবাস শুরু করেছে। এরই ধারাবাহীকতায় অনেক ধার দেনা করে নিজেদের কিছু জমানো পুজি দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে একটি পাঁকাঘরের ভিত্তি পস্তুর স্থাপন করে এখন ছাঁদ দেওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিস মৌখিক ভাবে ভূমি হস্তান্তরের অভিযোগ পেয়ে তাদের ঘর নির্মাণ কাজে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাছাড়া গত ৮ ফেব্রুয়ারী একই ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাড়ি নির্মাণ করতে হলে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে চাঁদা দাবি করে। এ অবস্থায় অসহায় এই দরিদ্র পরিবারটি ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

এবিষয়ে ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, আমি মৌখিক ভাবে শুনেছিলাম জাফিরুলের নিকট এই জমি হস্তান্তর বা বিক্রয় করা হয়েছে এবং সেই-ই এই নির্মাণ কাজ করছে। পরে তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি । ঘর নির্মাণ করতে আইনগত কোন বাঁধা নেয়, তবে আমি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয় সেটা আমি জানাবো।

এ সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ্যাড. এনামুল হক বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি এবং সাথে সাথে ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে অবগত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। তিনি আরও বলেন সরকারী বন্দবস্তকৃত জমিতে স্থায়ী ইমারত নির্মান করার কোন বিধান নেই, আগে যেগুলো হয়েছে আমি তখন চেয়ারম্যান ছিলাম না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অবৈধ হলে উচ্ছেদ করা হবে। চাঁদা দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, নির্বাচনের প্রতিপক্ষ বলেও বিষয়টি ছড়াতে পারে, আমি প্রমান করার চেষ্টা করছি, প্রমান মিললে ব্যবস্থা নেব।

পত্রিকা একাত্তর/ উদয়

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news