নড়াইলে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রাণি ও গুম করার হুমকি

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি

৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

নড়াইলে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রাণি ও গুম করার হুমকি

নড়াইলে মূলিয়া ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক(এফ.পি.আই) তুহিন সরকারের বিরুদ্ধে এক পরিবার কল্যাণ সহাকারি(এফ.উব্লিউ.এ) কে যৌন হয়রানি, গালিগালাজ ও স্বামীকে গুম করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগি পরিবার কল্যাণ সহাকারি শ্রীমতি রানী দাস সোমবার ( ৭ ফ্রেব্রুয়ারী) সদর থানায় জিডি (জিডি নং-২৫১) করেছেন এবং সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শ্রীমতি রানী দাসের লিখিত অভিযোগ ও সাধারন ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মূলিয়া ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ সহকারি শ্রীমতি রানী দাস ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের শূণ্যপদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পরে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তুহিন সরকার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদে যোগদানের পর থেকে তুহিন সরকার নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে পূর্বের মতো শ্রীমতি রানী দাসকে দিয়ে রির্পোট তৈরিসহ যাবতীয় অফিসিয়াল কাজ করতে বাধ্য করে আসছেন। কাজ না করলে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন রকম অশালীন ভাষা ও হুমকি দেওয়া হতো।

এ বিষয়ে তিনি মৌখিকভাবে কর্মকর্তা, সহকর্মী ও সংগঠনের নেত্রীদেরকে জানিয়েছি। মান-সম্মানের ভয়ে আমি এফ.পি.আই তুহিনের মানসিক নির্যাতন নিরবে সয়ে যাচ্ছি।

শ্রীমতি রানী দাস বলেন, তুহিন সরকারের পিতা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রভাত সরকারকে বিষয়টি জানালে গত ৬ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১টার দিকে তুহিন সরকার মোবাইল ফোনে আমাকে যৌন হয়রানি এবং আমাকে, আমার স্বামী ও আমার মেয়েদের ধরে নিয়ে যাওয়াসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়।

শ্রীমতি রানী দাসের স্বামী কালিয়া উপজেলার শাহাবাদ ইউনাইটেড একাডেমীর শিক্ষক সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বলেন,তুহিন ফোন দিয়ে আমাকে গালিগালাজ করে এবং বলে তোকে বাড়ি থেকে তুলে এনে তোর চামড়া ছুলে ফেলব, তোর কোন বাপ ঠেকায় ? তুই আর তোর দুই মেয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারবি না।

এ বিষয়ে মূলিয়া ইউনিয়নের পরিবার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক(এফ.পি.আই) তুহিন সরকারের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ সব মিথ্যা অভিযোগ। আমি কিছু বলি নাই।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তুহিন কান্তি ঘোষ বলেন, অভিযোগটি পাবার পর মঙ্গলবার মুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের সাথে কথা বলেছি। বিষয়টির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news