সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ বিক্রির অভিযোগ

সরিষাবাড়ি প্রতিনিধি

সরিষাবাড়ি প্রতিনিধি

৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ বিক্রির অভিযোগ
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত আর,ই,এন,টি-৩ প্রকল্পের সুপারভাইজার সাইদুর হোসেন রতন এর বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তার গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার ৭নং কামরাবাদ ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামের উপকারভোগী হাসনা বেওয়া ও ভুমি মালিক আব্দুল বারেক এ গাছ বিক্রির অভিযোগ তুলেন ।

স্থানীয় ও উপকারভোগী এবং কাঠ ব্যাবসায়ী গাছ ক্রেতা সুত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলার ৭নং কামরাবাদ ইউনিয়নে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের পাকা রাস্তায় জামালপুর বন বিভাগ ২০০৭ সালে একাশি ও আকাশী প্রজাতির বৃক্ষ বিভিন্ন রাস্তার দু পাশে রোপন করেন। ওই রোপিত গাছ গুলির মধ‌্যে হদুর মোড় হতে সুতার বাড়ী পর্যন্ত হাছনা বেওয়ার যত্নে রড় হওয়া ৫ টি একাশি জাতের গাছ কেটে ফেলেন উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামের মৃত গনি মন্ডল এর ছেলে কাঠ ও স-মিল ব‌্যাবসাযী দেলোয়ার হোসেন। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে না জানিয়ে সকলের অগোচরে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত আরইএনটি-৩ এর সুপারভাইজার সাইদুর হোসেন রতন স্থানীয় কাঠ ও স মিল ব‌্যাবসাযী দেলোয়ার হোসেন এর নিকট ৫টি গাছ নাম মাত্র দামে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন বলে গাছ ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন উপকারভোগী ও জমি মালিক আব্দুল বারেক সাংবাদিকদের জানান ।

এ ব্যাপারে রাস্তার গাছগুলি তদারকিতে নিয়োগ প্রাপ্ত উপকারভোগী হাছনা বেওয়া বলেন, আমাদের অংশের টাকা না দিয়ে বাধা না মেনে চুরি করে গাছ কেটে নিচ্ছে। আমরা আমাদের পাওনা দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার দাবী করছি।

স্থানীয় রাস্তার পার্শ্বের ভুমি মালিক সোনাকান্দর গ্রামের আব্দুল বারেক জানান, আমরা দেখেছি জেনেছি পাকা রাস্তার দু ধারের গাছ বিক্রির টাকার অংশ আমাদেরও দেবে বলেছিল। কিন্তু এখন দেখছি আমাদের অজান্তে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের পাওনা না পাওয়া পর্যন্ত গাছ কাটতে দিমু না।

এ ব‌্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত আরইএনটি-৩ এর সুপারভাইজার সাইদুর হোসেন রতন জানান, প্রকৌশলী স্যার ও সিএ মনছুর আলী’র কথামত স্থানীয় কাঠ ব‌্যাবসায়ী দেলোয়ার হোসেন এর মাধ‌্যমে ৫টি গাছ কেটে তার স-মিলে রাখার জন‌্য বলা হয়েছে। পরে নিলামে বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কামরাবাদ ইউপি চেয়ারম‌্যান আব্দুস সালাম কে ফোন করে না পাওয়ায় বক্তব‌্য নেয়া সম্ভব হয়নি।জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান জানান, গাছ কাটার ঘটনা তদন্ত করে জডিত ব‌্যাক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ মোঃ সিহাব উদ্দিন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news