জীবিকা হারিয়ে উপকূলের দরিদ্র মানুষের শেষ ভরসা এখন সুন্দরবন। সুন্দরবনে বাঘের বিপদ জেনেও জীবিকার তাগিদে মাছ, কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহ করার জন্য বনে যান হাজার হাজার জেলে, মৌয়াল।প্রতিনিয়ত বাঘের আক্রমণের শিকার ও হন। তবুও বন্ধ নেই সুন্দরবনে যাওয়া।
এমন ঘটনা ঘটেছে গতকাল সোমবার শ্যামনগরের ৬নং রমজাননগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টেংরাখালি গ্রামের মৃত আহসান ঢালীর ছেলে আবু হায়াত ঢালী নামে এক জেলের। সুন্দরবনে বাঘের সাথে যুদ্ধ করে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের দাড়গাঙ বড়খালে অবস্থানকালে বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। সোমবার ভোররাতে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে লোকালয়ে নিয়ে আসে।
বনবিভাগের কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা হারুন-উর-রশিদ জানান, গত ২৯ জানুয়ারি কৈখালী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মরাগাঙ গ্রামের কেরামত সানার ছেলে বাবলু ও একই গ্রামের মৃত আরশাদ গাজীর ছেলে নুর ইসলাম ও ৬নং রমজাননগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টেংরাখালি গ্রামের মৃত আহসান ঢালীর ছেলে আবু হায়াত ঢালী এক সঙ্গে মাছ ধরতে সুন্দরবনে যান। সকালে খবর পেয়েছি আবু হায়াত ঢালী বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে লোকালয়ে এনেছে। তিনি বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
উল্লেখ্য যে, আবু হায়াত ঢালীর চাচা টেংরাখালি গ্রামের আনছার ঢালী ইতোপূর্বে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘে আক্রমণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
পত্রিকা একাত্তর/ পরিতোষ কুমার বৈদ্য