বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাধ নির্মাণ, কিন্তু বছরের মাথায়ই সে বাঁধ ধসে পরেছে। এমনটিই হয়েছে বরগুনার আমতলীতে। এতে জলোচ্ছ্বাসের হুমকিতে পরেছে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সাত গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। দ্রুত ধসে পড়া বাঁধে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের মধ্য সোনাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি নদী রয়েছে। যেটি তাফালবাড়িয়া নদী নামে পরিচিত। উক্ত নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় ২০২০ সালে বাজার সংলগ্ন একশ ৩০ মিটার জায়গা জুড়ে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। এতে ঐ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়।
এদিকে ২০২০ সালে নদীর ভাঙ্গণ ও ফসল রক্ষায় বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ইমারজেন্সি প্রকল্পের অধিনে বাঁধটি নিমার্ণের উদ্যোগ নেয়। গত নভেম্বর মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক’শ ৩০ মিটার বাঁধ নিমার্ণ কাজের দরপত্র আহবান করে পা উ বো। কাজটি পেয়েছিল পটুয়াখালীর 'আজাদ এন্টার প্রাইজ' নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে বাঁধ নির্মাণের কাজ হাত পেয়ে অনিয়ম করেছে এমন অভিযোগ রয়েছে ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ওপর। অনিয়মের কারনে এক বছরের মাথায় বাঁধটি ধসে পরেছে বলে মনে করেন অনেকে।
এলাকাবাসী জানান, নিমার্ণে অনিয়ম করায় বছরের মাথায় এসে বাঁধটি ধসে পরেছে। প্রাকৃতিক কোনো জলোচ্ছ্বাস হলে ওই বাঁধ পুরোপুরি ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে এলাকার আরও ব্যপক ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত নদীতে ব্লক ফেলে বাঁধ সংস্কারের দাবী জানাই।
অন্যদিকে ঐ প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার স্বপন মৃধা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের কথা অস্ববীকার করেন। তিনি বলেন, যথা নিয়মেই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু স্রোতে বাঁধ ধসে পরলে আমি কি করবো?
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার বলেন, বর্ষা আসার আগেই বাঁধ সংস্কার করা প্রয়োজন। তানাহলে জলোচ্ছ্বাসে বাধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করবে। এতে ইউনিয়নের হাজারও মানুষ ও ফসলের ক্ষতি হবে। তিনিও দ্রুত নদীতে ব্লক ফেলে বাঁধ সংস্কারের দাবী জানান।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান সুজন বলেন, দ্রুত সরেজমিন পরিদর্শন করে বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলৗ মোঃ কাউছার আলম বলেন, ওই নদীতে ব্লক নিমার্ণ করে ভাঙ্গণ রোধে প্রকল্প দেয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ আবু সালেহ মুসা