নেই ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান, লঞ্চ ঘাটের ময়লা সরাসরি ফেলা হয় নদীতে!

উপজেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী সদর

৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

নেই ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান, লঞ্চ ঘাটের ময়লা সরাসরি ফেলা হয় নদীতে!
পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট | পত্রিকা একাত্তর

পটুয়াখালী শহরের একটি জনবহুল স্থান পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাট। প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ছেঁড়ে যায় তিনটি লঞ্চ। তার কারনে সকাল থেকে সন্ধ্যে অব্দি বহু মানুষের ভিড় জমে এখানে। মানুষের সাথে সাথে জমা হয় নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা।

টার্মিনালে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় বিস্কুট-চিপস-চানাচুরের প্যাকেট,কলার ছোলা,সিগারেটের প্যাকেট,পানির বোতল সহ নানা ধরনের ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকে পুরো লঞ্চ টার্মিনাল। সারাদিনের শেষে রাতে এসব ময়লা আবর্জনা চলে যায় নদীর পানিতে।

সারেজমিনে দেখা যায়, রাতে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী টার্মিনালের সব ময়লা কুড়িয়ে সরাসরি ফেলে দিচ্ছে নদীতে। নির্দিষ্ট কোন পোশাক না থাকায় দূর থেকে দেখে বোঝা সম্ভব হয়নি তিনি পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মী নাকি নদী বন্দর কতৃপক্ষের।

তাই সেই পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাছে গিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তার পরিচয় না দিয়ে বলেন,কাজের সময় কথা বলা যাবে না। পরবর্তীতে তাকে আবার প্রশ্ন করা হয় এভাবে কেনো ময়লা আবর্জনা পানিতে ফেলছেন? উত্তরে তিনি বলেন এত কথা বলা যাবে না।

পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন,আমাদের একজন মাত্র পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছে, আর তিনি মহিলা। আমাদের কোন পুরুষ পরিচ্ছন্ন কর্মী নেই। আমাদের টার্মিনালের ময়লা নদীতে ফেলা হয় না। এই পরিচ্ছন্ন কর্মী পটুয়াখালী পৌরসভার।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিমউদ্দীন আরজু বলেন, পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নির্দিষ্ট পোষাক রয়েছে,এবং তাদের সাথে ময়লার গাড়ী থাকে। এই পরিচ্ছন্ন কর্মী পৌরসভার নয়। এছাড়া টার্মিনালের ভেতরে পৌরসভার কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করেনা। গত দু বছর আমরা একটি নিরবিচ্ছিন্ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের নিজেদের অর্থায়নে একটি ট্রান্সফারস্টেশন তৈরী করেছি। ট্রান্সফারস্টেশনটি পটুয়াখালী চক্ষু হাসপাতালের পেছনে তৈরী করা হয়েছে। এর আগে শহরের বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা স্তুপ করে রাখতে হতো যা এখন নির্দিষ্ট একটি স্থানে ফেলা যাবে। পটুয়াখালী শহরে মোট পাঁচটি ট্রান্সফারস্টেশন তৈরী করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে, অতিদ্রুত এগুলো তৈরী হয়ে যাবে। এগুলো তৈরী হয়ে গেলে শহরের ময়লা আবর্জনা আর নদী,খাল-বিলে ফেলা হবে, আর আমাদের পরিবেশেরও কোন ক্ষতি হবেনা।আগামী ২ বছরের মধ্যে পটুয়াখালী শহর পরিচ্ছন্ন একটি শহরে রুপান্তরিত হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ মিজানুর রহমান অপু

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news