শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম শিম। নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় কয়েক বছর যাবৎ বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। যা অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিনদিন শিম আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। এবার উচ্চ ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন তারা।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি চৌকিদারের মোড় এলাকায় চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। দূর থেকে তাকালেই দেখা যায়, শিমের মাচায় সবুজ পাতার সঙ্গে দুলছে রঙিন ফুল। সাদা ও বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি সেজেছে দারুণ মুগ্ধতায়। মৌসুম শুরুর আগেই এমন মনোরম দৃশ্যে ভরে আছে অত্র এলাকার বাগানগুলো।
বাজারে যত আগে শিম তুলতে পারবেন, তত ভালো দাম পাওয়া ও বেশি বিক্রয় করা যাবে বলে আশাবাদী শিমচাষীরা। এজন্যই শীত মৌসুম শুরুর আগেই অনেকটা প্রতিযোগিতার মতোই শিমের চাষাবাদ করছেন এই এলাকার কৃষকেরা।
শিম চাষী মো. আব্দুল্লাহ আল আশাদ ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৮ শতক জমিতে শিম চাষে ব্যয় করেছেন মাত্র আড়াই হাজার টাকা। বাগানে শিম সবজি নামতে শুরু করেছে। প্রথম বাগানে শিম বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকার। চাষাবাদের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ পেলে এবং কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তা পেলে আরও বেশি উপকৃত হওয়া সম্ভব।
এবিষয়ে ডোমার উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদুল হক বলেন, আগাম জাতের শিম চাষে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। মৌসুমের আগেই বাজারে সবজি উঠলে, সেটির চাহিদা অনেকগুণ বেড়ে যায়। আমরা কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আগাম জাতের ফসল কিংবা সবজি চাষ করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। যেকোনো সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত আছি আমরা।
পত্রিকা একাত্তর / রিশাদ