তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিল নেত্রকোণা দায়রা ও জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আসামির উপস্থিতিতে উক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ ইফতেখার বিন আজিজ যুগান্তকারী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামির নাম ইব্রাহীম মিয়া। বয়স বর্তমানে আনুমানিক ২৫(পঁচিশ) বছর। তার বাড়ি উক্ত নেত্রকোণা জেলাধীন আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী গ্রামে। গত ৩মার্চ ২০১৫ খৃষ্টাব্দ তারিখে আসামি ইব্রাহিম মিয়া একই গ্রামের তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী মোঃ হলুদ মিয়ার কন্যাকে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নির্জন স্থানে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিক্টিমের পিতা মোঃ হলুদ মিয়া বাদী হয়ে ধর্ষক ইব্রাহিম মিয়ার বিরুদ্ধে আটপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।তাৎক্ষণিক পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। পরবর্তীতে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে।
মামলাটি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা ও ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে রাষ্ট্র মামলাটির পরিচালনাভার দেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি এডভোকেট রাসেল আহমেদ খানকে।অন্যদিকে আসামি ইব্রাহিম মিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট আসাদুল হক আকন্দ।
সকল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাদী পক্ষের আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ বুধবার আদালতে বিচারক মোঃ ইফতেখার বিন আজিজ আসামির উপস্থিতিতে ধর্ষক ইব্রাহিম এর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন এবং ৫০০০০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি এডভোকেট রাসেল আহমেদ খান ‘পত্রিকা৭১’ কে জানান, আদালত ন্যায় বিচারক করেছে। আদালতের রায়ে বাদী ও রাষ্ট্র পক্ষ সন্তষ্ট।এই রায়ে আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরোও সুদৃঢ় হবে।
এদিকে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আসাদুল হক আকন্দ বলেন, বিবাদী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসামির ভাইয়ের সাথে বাদী হলুদ মিয়ার পূর্বশুত্রুতার জেরে আসামির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন।আমরা স্বাক্ষীদের জেরার মাধ্যমে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে সমর্থ হই কিন্তু আদালত আসামির বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে পূনরায় উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলেও জানান।
পত্রিকা একাত্তর / খোকন
আপনার মতামত লিখুন :