ঈদের আনন্দে চলনবিলের বিভিন্ন দর্শনীয়স্থান

উপজেলা প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর

১২ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

ঈদের আনন্দে চলনবিলের বিভিন্ন দর্শনীয়স্থান

নাটোরের চলনবিলে ঈদে নিজের মনকে ও পরিবারের সদস্যদের আনন্দ দিতে ছুটছে চলনবিলের জলরাশিতে। ঈদের আমেজে দর্শনীয় স্থান গুলোতে চলছে মানুষের উপচেপড়া ভীড়।

সরেজমিনে চলনবিল এলাকার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বিলশা, রুহাই, কুন্দইল, ৮, ৯ এবং ১০ নাম্বার ব্রীজে দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পড়ন্ত বিকেলে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের ভিড়। চলনবিলের মনোমুগ্ধকর মিষ্টি বাতাস, মেঘের ছুটে চলা ও পানির ওপর ঢেউয়ের দৃশ্য নজর কেড়েছে দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের।

প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চলনবিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছেন তারা। ঐতিহাসিক চলনবিলের তাড়াশ, সিংড়া, গুরুদাসপুর, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত বিলে এমনকি চলনবিল গর্ভে অবস্থিত গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা বিলের ব্রীজে, সিংড়ার ঘাসি দেওয়ান পীরের মাজার ও গুরুদাসপুরের খুবজীপুরের চলনবিল জাদুঘর পরিদর্শনে ছুটছে নৌকা নিয়ে।

হাটিকুমরুল থেকে বনপাড়া মহাসড়কের ৮নং এবং ৯ ব্রীজে ও বিভিন্ন পয়েন্টে নানা ধরনের ছোট বড় নৌকা সারি সারি সাজানো দেখে মনে হয়েছে এটা নৌকার মেলা। এই নৌকা কেউ বা সারাদিন,কেউ বা ১ ঘন্টা, কেউবা ৩/৪ঘন্টার জন্য ভাড়া নিয়ে ঘুরছে। এতে নৌকার ভাড়াও কম নয়।

নৌকা নিয়ে বেড়ানো এক ব্যক্তি বলেন, ৯ নং ব্রীজে ১টা নৌকা নিয়ে ২০ থেকে ৩০মিনিট পর তাকে ভাড়া দিতে হয়েছে ৫০০ টাকা। তার পরেও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের আমেজ উপভোগ করছি এবং আনন্দ পেয়েছি।

চলনবিল অধ্যুষিত ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, প্রতি বছরেই বর্ষা মৌসুমে চলনবিলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য ছুটে আসেন দুর-দুরান্ত থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন লোকজনের ভীর উপচেপড়া, এবং ৪র্থ দিন থেকে অনেকটাই ভীড় কমে যাবে।

ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগক্তা মোঃ আতিকুর রহমান জানান, চলনবিলের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ৯ নং ও ১০নং ব্রীজ এলাকায় ঈদের ২ দিন ভীড় ছিলো। ঈদ আনন্দকে ঘিরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না সংঘটিত হয় সেই দিকে প্রশাসন ছিলেন ততপর।

পত্রিকাএকাত্তর /সোহাগ আরেফিন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news