লোভনীয় ফল তাল শাসের কদর বেড়েছে গরমে

উপজেলা প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর

৩ জুন, ২০২২, ১ year আগে

লোভনীয় ফল তাল শাসের কদর বেড়েছে গরমে

চলছে মধুমাস জৈষ্ঠ্য। এই মাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু ফল। ফলের তালিকায় রয়েছে- আম, জাম, কাঠাল, লিচু ছাড়াও অন্যতম আরেকটি ভিন্নধর্মী ফল তালের শাস। তালের শাসের নরম অংশটি খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি "তালকুই" নামে বেশি পরিচিত। প্রচণ্ড গরমে তালের এই শাস মানুষের কাছে খুবই প্রিয়।

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণা স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাস। প্রচন্ড গরম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের পিপাসা ও বছরের শুরুতে মৌসুমি এ ফলের চাহিদাও বেশ ভালোই বেড়েছে। মিষ্টি ও রসালো পানির কারনে বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার, মোড়, ঘুরে দেখা যায়, বিক্রি হচ্ছে কচি তাল শাস। ছোট বড় প্রকার ভেদে প্রতিটির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি করছে বিক্রেতারা।

গুরুদাসপুর উপজেলার শিধুলী এলাকার পাইকারি তাল বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গাছ চুক্তিতে তাল সংগ্রহ করি। গত বছরের চেয়ে এবার দামটা একটু বেশি। তালের আকার ও পরিমান ভেদে গাছ প্রতি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে ক্রয় করছি।

নয়াবাজার এলাকার খুচরা কচি তাল শাস বিক্রেতা পলাশ বলেন, গরম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এখন তালের শাসের ভালো চাহিদা রয়েছে। প্রতি পিচ ৫ থেকে ১০ টাকায় দরে বিক্রি করছি। বিক্রিও বেশ ভালোই হচ্ছে।

বিক্রেতারা আরো জানান, তালগাছ থেকে ফল কেটে আনা একটি কষ্টকর বিষয়। কাটার জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়, এতে লাভের পরিমাণ কম হচ্ছে। একটি গাছে ৩০০ থেকে ৩৫০ ফল পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিকে বিক্রি শুরু হয়, চলে পুরো মাস জুড়ে।

ধারাবারিষা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রোকনুজ্জাম বলেন, বাণিজ্যিক ভাবে এই অঞ্চলে তাল গাছের তেমন বাগান নেই। সাধারণত বসত বাড়ী বা রাস্তার পাশে মানুষ তালগাছ রোপন করে থাকে। তালগাছ লম্বা হওয়ার কারনে বজ্রপাত রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতি রোধ করে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।

পত্রিকা একাত্তর /সোহাগ আরেফিন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news