খিদির পুরে নেই কোনো যানবাহন ব্যাবস্থা, নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহসিনা মায়া একজন মেয়ে হয়ে সদূর ঢাকা থেকে রাজশাহী এসে এই তীব্র রোদে রোজা রেখে রাজশাহী শহর থেকে নৌকায় পদ্মানদী পার হয়ে প্রায় ৮-১০ কিলোমিটার বালুর চরে পায়ে হেটে পৌঁছায়।
ভারত সীমান্তবর্তী চরখিদিরপুর গ্রামের অসহায় বিশেষ চাহিদা সম্পুর্ন শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের কাছে। শতাধিক বাচ্চাকে ঈদের নতুন পোশাক ও চকলেট দিয়ে হাসি ফুটিয়েছেন মহসিনা মায়া।
মহসিনা মায়া পএিকা একাত্তর কে জানান, চরখিদির পুর গ্রামে নেই কোনো উচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থা, নেই কোনো চিকিৎসা ব্যাবস্থা।
এই গ্রামে রয়েছে একটি প্রাইমারী স্কুল ও একটি এতিমখানা। আর তাই প্রাইমারী স্কুলের পর বন্ধ হয়ে যায় এই বাচ্চাদের শিক্ষা প্রসারের আলো। যার কারণে বেড়ে যায় বাল্যবিবাহের হার ও শিশুশ্রম। যা আমাদের সমাজের জন্য অতন্ত্য ক্ষতিকর।
মহসিনা মায়া আরও জানান, যেহেতু আমার সামাজিক কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া তাই শুধু সুবিধাবঞ্চিত শিশু নয়, এই চরের বৃদ্ধ বাবা মায়ের জন্য একটা ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প এর আয়োজন করতে চাই।
যেখানে বিনামুল্যে চিকিৎসা পাবে রাজশাহীর চর খিদিরপুরের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো।