আজ থেকে দেড়শো বছর আগে হাতিকে পানি খাওয়ানো জন্য লোহার তৈরি কড়াইয়ের সন্ধান মিলেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের তহশিলদারপাড়ার আলহাজ্ব এমদাদুল হকের বাড়িতে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের স্বীকৃতি পাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় এই কড়াই দেখতে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
পুরনো এই হাতির কড়াইটির তত্ত্বাবধায়ক এরশাদ বিন এমদাদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা জনাব আলহাজ্বএনদাদুল হক এর দাদু আগে হাতি পালন করতেন।
সেসময় তিনি হাতিকে নদীর পানি খাওয়াতেন। পরে, তিনি ভারতের শিলিগুড়ি থেকে লোহার এই কড়াইটি কিনে আনেন।’
আলহাজ্ব এমদাদুল হকের বড় ছেলে জানান, তার বাবার দাদাহাতিকে পানি খাওয়ানোর জন্য যে কড়াইটি ক্রয় করেছিলেন অর্থাৎ যেটি তাদের বাড়িতে আছে সেই কড়াইটির ২১ ফিট বৃত্তে ব্যাস রয়েছে প্রায় ৭ ফিট।
লোহার কড়াইটি দেড়শো বছরের পুরনো হওয়ায় অনেকটাই ক্ষয়ে গেছে। এছাড়া কড়াইটি তাদেরব্যক্তিগত হওয়ায়, এটি সংরক্ষণ করতে চান তারা। খুশির সংবাদ হচ্ছে, প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর এটিকে রক্ষার জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ যাদুঘর রংপুর এর কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান জানান, কড়াইটি দেড়শো বছরের পুরনো হওয়ায়এটিকে যাদুঘরে সংরক্ষণ করার কথা। তাই নীলফামারীর জেলা প্রসাশক কে চিঠি প্রদান করা হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ রিশাদ