সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে বিশেষ করে কৈখালী ইউনিয়নে কিছু কুচক্রি মহল।
৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মিন্দিনগর ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হলেও রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পরানপুর বাজার সংলগ্ন পরানপুর মিন্দিনগর ভিপিখাল নামক স্থানে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের চিত্র দেখা গেছে।
এখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও জাতীয়তাবাদী দলের ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক,ও তার সহযোগী মহাতাব।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, ভিপিখালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে বালু উত্তোলন করে চলেছে। এতে খালের পানি প্রবাহ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষি জমি ও বসতভিটাও পড়েছে হুমকির মুখে।
পাশপাশি মেশিনের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশের মানুষেরা। অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাসীন ব্যক্তি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উপজেলার বেশ কিছু স্থানে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ওইসব স্থানে ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টরের সারিবদ্ধভাবে আনা-নেয়ার লম্বা লাইন দেখে যে কারো মনে হবে যেন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে।
আর যত্রতত্র ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট ও বাঁধ নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে অন্যদিকে ধুলা স্তুপ পড়ে গেছে। এসব ধুলার কারণে বাসা-বাড়িতে থাকার অযোগ্য পরিবেশ হয়ে পড়েছে। অনেকেই এসব ধুলা বালির মধ্যে চলাচল করায় নানা ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী তাদের চলাচলের রাস্তাঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নষ্ট হওয়ায় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। বালুদস্যুরা অসাধু কিছু লোকের সাথে আতাঁত করে নির্বিচারে বালু ব্যবসা করে আসছে।
বালু উত্তোলনকারী মহাতাব বলেন, বালু উত্তোলন করছি কিন্তু এ বালু আমার না। জনৈক ব্যক্তিরা আমার কাছে হাজার হিসাবে চুক্তি করে বালু উত্তোলন করে নিচ্ছেন। তারা কোথায় বিক্রি করবেন এবং কী কাজে লাগাবেন সেটি আমার জানা নেই। যথাযথ দৃষ্টিগোচর কামনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ করেন কৈখালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।
পত্রিকা একাত্তর /মোঃ আলফাত হোসেন