হঠাৎ করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বটিয়াঘাটা পাইকগাছা সড়কে। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নে অবস্থিত রায়পুর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা। ভদ্রানদীর স্রোতে তীব্র আকারে উক্ত সড়কটির রায়পুর নামকস্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। চলতি ধান মৌসুমে ভাঙ্গন রোধ করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শতশত বিঘা জমির ফসল।
পানিতে তলিয়ে যাবে ফসলি জমিসহ অসংখ্য কাচা পাকা ঘর বাড়ি, পুকুর ও লীজঘের। একটি বে-সরকারি সংস্থা ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগের কাজ করছেন। এলাকাবাসির অভিযোগ, কাজের গতি যা দেখা যাচ্ছে, মনে হয়না তাতে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে। ভাঙ্গন রোধে কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার রবিন কুমার বলেন, রায়পুর নদী ভাঙ্গন রাস্তার ১৮০ মিটার কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২২ শত জিও বস্তা। ভাঙ্গন রোধ করতে হলে সর্বনিম্ন ২০ থেকে ৩০ হাজার বস্তা বরাদ্দ করতে হবে।
সম্প্রতি নদী ভাঙ্গন রোধে মাটির রাস্তার কাজ বরাদ্দ হয়েছে ১৫০ মিটারের। যা অতিসত্বর কাজ শুরু হবে জানিয়েছেন, খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মুরাদ হোসেন। উক্ত রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে চরম ঝুঁকিপূর্ণর মধ্যে দিয়ে। ভ্যানচালক কালাম বলেন, আমি দুই বার যাত্রী নিয়ে ভাঙ্গন স্থানে পড়ে গেছি। ইজিবাইক চালক সমিরন বলেন, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। সড়কটির ৮০ শতাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাংবাদিক হিরামন মন্ডল সাগর রাজধানী টাইমসকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং খুলনা উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা অবস্থা জারি করা হয়েছে। তাছাড়া নদীতে জোয়ারে পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রায়পুর সড়কটি কি হবে তা বলা যাচ্ছেনা। তিনি অতিধ্রুত বাধনির্মানের কাজ করার আহবান জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর নিকট।
সুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন লিটু বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে গেলে এলাকাবাসি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বন্ধ হয়ে যাবে খুলনার বটিয়াঘাটা-পাইকগাছা সড়কের যানবাহন চলাচল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর রহমান বলেন, এটা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ। ওটা তারাই দেখভাল করবেন।
পত্রিকা একাত্তর / আক্তারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :