স্ত্রীর অধিকার আদায়ে প্রবাসীর বাড়িতে নারীর অনশন

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর

জেলা প্রতিনিধি | জামালপুর

৩১ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

স্ত্রীর অধিকার আদায়ে প্রবাসীর বাড়িতে নারীর অনশন

স্ত্রীর অধিকার আদায়ে মোছাঃ রেহেনা আক্তার (২০) নামে এক নারী জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ৪নং চর এলাকায় তার প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশনে বসেছেন।

শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের ৪নং চর এলাকায় আব্দুল মজিদ দপ্তরীর ছেলে মোঃ নাজমুল মিয়ার ( ২৩) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন ওই নারীঅনশনে বসা ওই নারী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের হামিদুর রহমানের মেয়ে রেহেনা আক্তার।

এদিকে বাড়িতে অবস্থানের নেওয়ার পর পরই রেহেনার সাথে থাকা তার খালাতে বোনের কাছ থেকে টেনে হেচড়ে শারীরিক নির্যাতন করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মোবাইলে থাকা সকল প্রমানাদি ও যোগাযোগের নাম্বার ডিলেট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শশুর ৪নং চর হাইস্কুল এন্ড কলেজের দপ্তরী আব্দুল মজিদ, রেহেনার মামা শশুর ৪নং চর হাইস্কুল এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক হুমায়ুন কবীর, ও তার স্বামীর খালাতো ভাই বিজিবি সদস্য শাকিবুল হাসান শাকিলের বিরুদ্ধে।

রেহেনা আক্তার জানান, গত ৭-৮ বছর আগে আমার প্রেমিক নাজমুল তার এলাকায় একটি মামলার আসামি হয়ে আমাদের গ্রামে তার এক আত্নীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেই। সেখান থেকে তার সাথে আমার পরিচয় হয় এবং পরিচয় থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

আমার বাড়িতে আমার বিয়ের প্রস্তাব আসলে নাজমুল আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার বিয়ে ভেঙে দেয়। ২০২০ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারী গাজীপুর নোটারী পাবলিক এ উপস্থিত তিন লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করিয়া বিয়ে হয়।

বিয়ের পরে নাজমুলের পাঁচ মাস ঢাকার গাজীপুরে এক বাসায় সংসার করি। সংসার করা অবস্থায় নাজমুল চাকরির কথা বলে আমার পরিবারের কাছ থেকে মোট আড়াই লক্ষ টাকা নেয়। একদিন আমার স্বামী নাজমুলের এক বন্ধুর ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্বামী বিদেশ চলে যাচ্ছে।

এভাবে আমাকে ফাকি দিয়ে মিথ্যা কথা বলে টাকা নিয়ে সে বিদেশে চলে যায় সে।এরপর আমি তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে না পেয়ে একাধিকবার তার বাড়িতে আসলে আমার শ্বশুর এবং মামা হুমায়ুন মাস্টারসহ এলাকার লোকজন মীমাংসার কথা বলে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমি সুষ্ঠু সুরাহা না পেয়ে আবার তাঁর বাড়িতে এসেছি আমি আমার স্বামীর অধিকার চাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোহাম্মদ পারুল বলেন, মেয়েটি আমার কাছে একাধিক বার এসেছে। আমি বার বার মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি ছেলের পরিবার থেকে মীমাংসা হয় নাই।

এ বিষয়ে নাজমুল এর বাবা আব্দুল মজিদ ও মামা হুমায়ুন কবির কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।এ বিষয়ে ইসলামপুর থানাধীন ডিগ্রির চর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এজিএম মাইদুল হাসান বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু শুনিনি না। যদি মেয়েটি অভিযোগ দেয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পত্রিকাএকাত্তর /সাকিব আল হাসান

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news