ঠাকুরগাঁওয়ে পচা আলু ঢেলে মহাসড়ক অবরোধ করেছে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে আলুর ক্ষতিপূরণের দাবিতে এ আন্দোলন তাদের।

ঠাকুরগাঁও কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এ আন্দোল হয়েছে প্রায় ঘন্টাব্যপী। এ সময় যানচলাচল বন্ধ থাকার কারনে ভোগান্তি হয়েছে যাত্রীদের। এ জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছে তারা। তবে অনেক যাত্রীকে গাগি থেকে নেমে কৃষকদের আন্দোলনে সামিল হতেও দেখা গেছে।

সড়ক অবরোধ করা ১৫ মিনিট পর পুলিশের অনুরোধে রাস্তার এক লেনে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। হিমাগার মালিক কর্তৃপক্ষের সিন্ডিকেটের কারনে তাদের অব্যবস্থাপনার কারনে হিমাগারগুলোতে আলু পচেগেছে। কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকের আলু পঁচলো কেন এর জবাব হিমাগার মালিকদের দিতে হবে। সেই সাথে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কৃষকদের।

কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, আলুর ফলন আমাদের মুখে হাসি ফোটালেও হিমাগার মালিকদের গাফিলাতির কারনে আমাদের আলু পঁচে গেছে। তারা ৩৫ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনের জন্য ধারণ ক্ষমতার বাইরে আলু সংরক্ষণ করেছে হিমাগার গুলোতে। এর দায় শুধুই হিমাগার কর্তৃপক্ষের।

আলুচাষী ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্তুস সামাদ হেলাল বলেন, আমাদের সাথে টালবাহানা করছে প্রশাসন ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ। আমাদের সাথে একাধিক বৈঠক করেও কোন সুরাহা করেননি৷ আমাদের পঁচা আলুর দায় কে নেবে এ সিদ্ধান্ত জানাতে ব্যর্থ কেন এখনও। আমরা কৃষক ওব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়েছি। আলু বিক্রি করে ঋণের দেনা শোধ করার কথা। এখন আমাদের কি হবে।

এ আন্দোলনে জেলার শত শত কৃষক ও ব্যবসায়ী অংশ নেন। আগামিকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি কর্মসূচী প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে ঠাকুরগাঁও হিমাগার মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, হিমাগারে আলু যারা রেখেছেন তাদের সাথে হিমাগার কর্তৃপক্ষের চুক্তির বিষয়। এখানে যদি কোন অধিকার লঙ্ঘিত হয় সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কৃষক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উভয়ের যাতে ক্ষতি না হয় সে দিক বিবেচনা রেখে উভয়ের সাথে আলোচনা হয়েছে।