প্রায় ৩০ মাস আগে ‘পটুয়াখালীর রাজা’ নামের এ গরুটির জন্ম হয়। সঠিক লালন পালনের ফলে এটির ওজন এখন ২৫ মন। তাই এ গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘পটুয়াখালীর রাজা’। কালো আকর্ষনীয় বর্নের এই গরুটি দেখতে ওই মালিকের বাড়িতে ভীড় করছে স্থানীয় মানুষ। কোরবানীতে বিক্রির লক্ষে গরুর মালিক এটির দাম হাকছেন ৮ লাখ টাকা।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মুসুরিকাঠি গ্রামের শাহআলম হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার (৩৫)। তিনি ২০১৮ সালে ফ্রিজিয়ান জাতের ১১ টি গরু কিনে শুরু করেন খামার ব্যবসা। ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে এর মধ্যে একটি গরু বাছুর জন্ম দেয়। পরে এই বাছুরটিকে তিনি নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেন এবং নাম রাখেন পটুয়াখালীর রাজা।

সঠিক পরিচর্যা এবং দেশীয় খাবার গম, ভুট্রা এবং খড় কুটো খাওয়ানের ফলে বর্তমানে এই গরুটির ওজন হয়েছে ২৫ মন। বর্তমানে এই গরুটি লালন পালণ এবং খাবারে প্রতিনিয়ত ব্যয় হচ্ছে ১৫ শ‘ টাকা। তাই কোরবানীর আগে পটুয়াখালীর রাজার ওজন আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খামার ব্যবসায়ীরা।

খামারী শামীম হাওলাদার জানান, বর্তমানে আমার খামারে ১৩ টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে এই গরুটির যখন জন্ম হয়, তখনই এটি দেখতে অনেকটা সুন্দর ছিলো। ভালোবেসে এটির নাম রেখেছিলাম পটুয়াখালীর রাজা। এবং নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেছি। এছাড়া সম্পূর্ন দেশীয় খাবার খাইয়েছি। তবে এ বছরই এটি বিক্রি করে দিতে হবে। তাই দাম চেয়েছি ৮ লাখ টাকা। তবে আলোচনা সাপেক্ষে কেউ নিতে চাইলে কম বেশি হতে পারে।

পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার শাখারীয়া বাজারের মনির মিয়া জানান, এ গরুর নাম এখন জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এটিকে দেখতে এসেছি। দেখতে বেশ নাদুস নুদুস। গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ছলেমুদ্দিন জানান, দুই থেকে তিন মাস আগেই শুনেছি শামীম গরুর খামার করে সফল হয়েছে। তাই তার খামার দেখতে এসেছি। আমারও খামার করার ইচ্ছে আছে। পটুয়াখালীর রাজা কালো হলেও দেখতে অনেকটা সুন্দর।

গলাচিপা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, এটাই সম্ভবত জেলার সবচেয়ে বেশি ওজনের গরু। আমরা দুই একদিনের মধ্যে ওই খামারীর বাড়ি ভিজিট করবো। তবে শামীম হাওলাদার একজন সফল খামারী। তাকে আমরা প্রানী সম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

পত্রিকাএকাত্তর /মিজানুর রহমান