কে না চায় সফল হতে কিন্তু সফল হওয়ার জন্য যে সবার শেষে থাকতে হবে এটা কি সবাই জানে।পৃথিবীর ১০০ ভাগ এর ১ ভাগ মানুষ কেন সফল, কিন্তু সবাই কেন সফল হতে পারে না, বিশেষ করে আমাদের সফল হওয়ার জন্য যে জিনিসটা প্রয়োজন সেটা নেই। আমাদের মাঝে ইচ্ছাশক্তি নেই, আমরা কোন একটা কাজে যদি ১, ২ বা ৩ বার হেরে গেলে সেই জায়গা থেকে হার মেনে ফিরে আসি, মন ভেঙে যায় কিন্তু সেটাকে আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি না। আমরা চাই অতি সহজে সফলতা অর্জন করতে, এটা মেনে নিতে রাজি থাকি বা যে সফলতা অতি সহজে আসে না, আর যেটা আসে সেটা স্থায়ী থাকে না।
সাধারণত, যদি আজ ১০০ জনকে বলি আগামীকাল ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মর্নিংওয়ার্ক করবেন ১ম দিন ৮০ জন উঠবে, ২য় দিন ৫০ জন উঠবে, ৩য় দিন ৩০ জন উঠবে, ৪র্থ দিন ১০ জন উঠবে, ৫ম দিন ৫ জন উঠবে, ৬ষ্ঠ দিন ২ জন উঠবে। কিন্তু এই ৭ম দিনে এই ১০০ জন ব্যাক্তির মধ্যে ১ জন ব্যাক্তিই উঠবে যে তালিকায় শেষে থাকা এই একজন ব্যাক্তি, আর এই একজন ব্যাক্তি এর মধ্যে ওই লক্ষ্যটাই স্থির থাকে সেটা যেকোনো কাজ হোক অভিনেতা, গায়ক, আইনজীবী, ডাক্তার কিংবা পাইলট হোক না কেন এই একজন ব্যাক্তি এই ১০০ জনের তালিকায় থাকা সবার শেষের ব্যাক্তি তাই সফল হতে হলে সবার শেষে থাকতে হবে।
আমাদের আরেকটি সমস্যা হলো আমরা অনেক কাজকে ছোট করে দেখি কিন্তু কোন কাজই যে ছোট নয় সেটা আমরা বুঝি না, আপনারা কি জানেন যে প্যানাসনিক যে কোম্পানি রয়েছে সেটার প্রতিষ্ঠাতার কোন শিক্ষা ছিল না, কোন টাকা পয়সা ছিল না, প্যানাসনিক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ একটা ইলেকট্রনিক এর দোকান এ কাজ করতেন, কোন শিক্ষা ছাড়াই নিজের মেধা দিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন প্রথমে একটা লাইট তৈরি আস্তে আস্তে টেলিভিশন ফ্রিজ সহ অনেক কিছুই এই প্যানাসনিক কোম্পানির তৈরি। সাধারণ একটা দোকান কাজ থেকে বিশ্বের নামকরা একটি কোম্পানি তৈরি করেছিলেন, ছোট একটা কাজ থেকে যে বিশাল একটা কিছু আবিষ্কার হতে পারে সেটা আমরা ভাবি ও না।
লেখকঃ আল হাসান মিলাদ।
এল এল বি স্টুডেন্ট মেট্ট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, এবং জার্নালিজম রাশিয়ান কালচারাল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট।