নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ সবুজ ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ খোকনের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টায় উপজেলার নতুন বাজারের চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সামনে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। হামলায় চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ সবুজ ও ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ খোকন গুরুত্বর আহত হয়।
আহত অবস্থায় প্রথমে তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আরও অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের মোবাইলে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ সম্পাদক রবিউল হক সোহেল। সোহেল জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের প্রতিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন মোঃ ফখরুল ইসলাম সবুজ।
প্রতিপক্ষ ফখরুল ইসলাম সবুজের ছেলে চয়ন ও চরকাঁকড়া ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজ, শামীম, রনি, লাভলু ও প্রদীপের নেতৃত্বে ১০-১২জনের একদল সন্ত্রাসী লোহার রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের পা, হাতের কবজি, বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল, ডান বুকের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং মাথা ফেটে যায়। ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ খোকনও গুরুতর আহত হন। এ ব্যাপারে ফখরুল ইসলাম সবুজ জানান, আমি ঢাকায় অবস্থান করছি।
চেয়ারম্যান হানিফ সবুজের ওপর হামলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজের মোবাইল নাম্বারে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাদেকুর রহমান জানান, হামলার কথা শুনেছি। থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর /সাঈদ শাকিল