দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার অধিক লাভের আশায় পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাজারের চাহিদা পুরণ করতে পেঁয়াজ চাষে মেতে উঠেছে কৃষকেরা। ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের গুনগত মানও ভাল এবং দামও পাচ্ছে বেশি।
উপজেলার মুকন্দপুর সবজির মাঠ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় মাঠে অন্যান্য রবিশষ্যের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষ করছেন এখানকার কৃষকেরা। প্রতিটি জমির একাংশ পেঁয়াজ বুনেছেন তারা। আবার অনেকেই বিঘাপ্রতি পেঁয়াজ চাষ করেছেন। বিঘাপ্রতি ৩০ কেজি পটাস, ৫০ কেজি ফসফেট ও ১৫ কেজি ইউরিয়া সারের পাশাপাশি গোবর মিশিয়ে পেঁয়াজ চাষের জমি তৈরি করেছেন।
এক বিঘা জমিতে প্রয়োজন হয় ২০ হাজার টাকার পেঁয়াজের বীজ, মোট খরচ হয়ে থাকে ৪০ হাজার টাকা। আশ্বিন মাস থেকে পেঁয়াজ লাগানো শুরু, অগ্রাহন মাসেই তা বাজারজাত করবেন চাষিরা। গড়ে তিন মাস সময় লাগে এই ফসল ঘরে তুলতে। ভাল ফলন হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান পেঁয়াজ চাষিরা।
মুকন্দপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আব্দুল হাকিম বলেন, বাপ-দাদার আমলে দেখিছি অন্যান্যদের ফসলের পাশাপাশি বাড়ির জন্য কয়েক শতক জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করতো। বর্তমান দেশে পেঁয়াজের চাহিদা এবং দাম ভাল পাওয়ায় আমি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে আসছি। গত বারও বাজার ভাল পাইছি। আশা করি এবারও দাম ভাল পাবো।
কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে দেশের পেঁয়াজের অস্থির বাজার ছিলো। ২০০ টাকা কেজি দরেও মানুষকে পেঁয়াজ কিনে খেতে হয়েছিলো। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিলো। যার কারণে অধিক দাম বেড়ে যায়। আমরা কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষে মনোযোগী হয়। ফলে বাজারে কমতে থাকে পেঁয়াজের দাম। বর্তমান আমরা সবাই পেঁয়াজ চাষ করছি।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে রবিশস্য চাষ করছেন কৃষকেরা। তার ৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজির বীজ সহ সার প্রদান করেছি। সার্বিক ভাবে কৃষি সেবা সহ সুপরামর্শ দিয়ে আসছি।
পত্রিকা একাত্তর / এবিএম মুছা
আপনার মতামত লিখুন :