সৌদি আরবের দাম্মাম আল খোবার এলাকায় সফল বাংলাদেশী ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশী খোরশেদ আলম। বর্তমানে নিজের গড়ে তোলা গোল্ডেন কোম্পানিতে ৩৫০ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। যাদের মধ্য ৩০০ জন বাংলাদেশী।
২০০৩ সালে জীবিকার তাগিদে নিজের মামা মোঃ রফিকুল ইসলাম এর মাধ্যমে সৌদি আরব আসেন খোরশেদ আলম। দেশটির দাম্মাম আল খোবার বাংলাদেশী মার্কেটে তার মামার সুপার সপে কাজ শুরু করেন তিনি। বেতন বলতে পকেট খরচ, থাকা, খাওয়া। মূলত মামার কাছেই ব্যবসায়ী হিসাবে তার হাতেখড়ি। ২০০৭ সালে গোল্ডেন নামে নিজের একটি কোম্পানি গড়ে তোলেন খোরশেদ আলম। এ কোম্পানির মাধ্যমে দেশটির বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে দেশটিতে ইনভেস্টর হিসাবে নিজের নামেই ব্যবসা করছেন খোরশেদ আলম।
সৌদি সরকারের আদেশ মেনে যারা ব্যবসায়ীক নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশী খোরশেদ আলম রুবেল একজন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষ শ্রমিক হতে হবে। অদক্ষ্য শ্রমিকদের কোনো চাহিদা নেই। ইতোমধ্যে আমার গোল্ডেন সার্ভিস কোম্পানি অনেক বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’
প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রবাসে আসার আগে অবশ্যই সেই দেশের ভাষা, কালচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিৎ। এছাড়া যে কাজে প্রবাসে আসবে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। না হলে পদে পদে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। এসব বিষয় জেনে সৌদি আরব আসলে দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা বাড়বে।
বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি জানান, দেশ থেকে কোনো প্রবাসী নতুন ভিসায় প্রবাসে আসার আগেই বাধ্যতামূলক তার নামে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম করা উচিত। ফলে প্রবাসীদের কষ্ট উপার্জিত অর্থ পরিবারের পাশাপাশি নিজের নামেও জমা থাকবে। খোরশেদ আলমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার ডুমুরিয়ায় গ্রামে। তিনি বর্তমানে ২ সন্তানের জনক।
পত্রিকা একাত্তর / ইসমাইল ইমন