সম্ভব এ শতাব্দীর প্রথম দশকে পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে জঙ্গী হামলায় শিকার হয়ছিলো লঙ্কান ক্রিকেটাররা৷ পরবর্তীতে আইসিসি থেকে নিষিদ্ধ করা হয় তাদের। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আয়োজন নিষিদ্ধ করে আইসিসি । যার ফলে ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে পাকিস্তানি ক্রিকেট। হারিয়ে যেতে থাকে পুরনো সেই পাকিস্তান দল।
এভাবেই যেতে যেতে, আবার ফিরে আসে তাদের ক্রিকেট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড মূল্যায়ন করতে থাকে প্রতিভা৷ প্রতিভার সন্ধানে শুরু করে কার্যক্রম। খুঁজতে থাকে তৃণমূলের ক্রিকেটারদের। খুঁজে পায় দাহানি,রউফদের মতো গতিদানব। আর সেই জেরে বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গতিসম্পন্ন পেসার এখন তাদের দখলে। মোহাম্মদ হাসনাইন তার বলে গতি ঢালেন ১৫৬ কিমি প্রতি ঘন্টা। হারিস রউফ ১৫৩ কিমি প্রতি ঘন্টা।
শাহনওয়াজ দাহানি ১৪৯ কিমি প্রতি ঘন্টা। নাসিম শাহের মতো তরুন পেসার দেখিয়েছেন ১৪৭ কিমি প্রতি ঘন্টা। আর সুইংয়ের জোরে যে বোকা বানান রোহিত, বিরাটদের মতো ব্যাটসম্যানদের, সেই বিশ্বমানের পেসার সাবেক ক্যাপ্টেন শহিদ আফ্রিদির জামাতা শাহিন শাহ আফ্রিদি। শাহিন শাহ আফ্রিদির দেখিয়েছেন ১৪৫ কিমি প্রতি ঘন্টা। এদের নিয়ে বর্তমানের পাকিস্তানের পাঁচ পেসার। পাইপলাইনে পাঁচজন পেসার থাকলেও সম্ভবত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবেন ৩ জন পেসারকে নিয়ে।
বর্তমানে শাহিন শাহ আফ্রিদি পায়ের ইনজুরিতে ভুগছেন। সেরেও উঠেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জন অনুযায়ী শাহিন শাহ আফ্রিদির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা নিশ্চিত। এখন বাকি রইলো দুজন পেসার বাছাই করার। রউফ, দাহানি, নাসিম আর হাসনাইনদের মধ্য থেকে কে কাটতে পারবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকেট। দল ঘোষণা করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ধোঁয়াশা হয়ে আছে সেটাই।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, এবারের এশিয়া কাপ আসরে দাহানি,রউফ, নাসিম শাহের মধ্যে সবাই বিশ্বমানের পেসার দেখিয়েছেন। যার যার জায়গা থেকে দিয়েছেন সেরাটা । তবুও দেখা যাক কি হয় শেষ অবধি, কি সিদ্ধান্তে উপনীত হন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
পত্রিকা একাত্তর /মাহমুদ রাফি