গেলো কয়েক মৌসুম ধরে বার্সা যতবারই বায়ার্নের বিপক্ষে নেমেছে, ততবারই মানসিকহীনতায় ভুগেছে ৷ মনে আছে সেই কথা, ২০১৯-২০ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলে হার ৷ একদম চুরমার করে দিয়েছিলে সেদিন বার্সাকে৷
এরপরেও এই দুইদলের দুইবার মুখোমুখি হলেও একবারও সফলতা পায়নি বার্সা। বার্সার জালে যেনো এক অশনির ছায়া পড়েছে। লেভানডফস্কির গোল হলে হয়তো জীততো বার্সা, কিন্তুু সেটা হয়ও নি, বার্সার কপালে জয় ও জোটেনি। বার্সেলোনার জার্সিতে চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও এ ম্যাচে সহজ সুযোগ পেয়েও লেভা কাজে লাগাতে পারেননি। প্রমাণ করতে বর্থ হয়েছে নিজেকে। ফিরতে হয়েছে মানসিকহীনতা হয়ে। প্রথমার্ধের সুযোগটা বরাবরই হাতছাড়া করে যাচ্ছে বার্সা। যেটা এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
খেলার শুরুতেই বায়ার্নের জালে জড়ানো যেতো দুটি গোল, কিন্তু সেই সুযোগ নষ্ট করে ভেঙে পড়ে যায় লেভানডফস্কি। গোলকিপার আর ম্যানুয়েল নয়্যারের সেভ করা সেই লেভানডফস্কির হেড আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয়। যার কারণে, হয়তো পরবর্তীতে ন্যয়ারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেনি লেভানডফস্কি। ৯ মিনিটের সময় মিডফিল্ডার পেদ্রির সেই গোল মিস, এসব নিয়ে প্রথমার্ধেই তিনটে সুযোগ মিস করে বার্সালোনা। বরং- দ্বিতীয়ার্ধে ৫০,৫৪ মিনিটেই বায়ার্নের করা দু গোল, বয়ে নিয়ে যায় ম্যাচের শেষ অবধি।
ফের চুরমার হয়ে যায় বার্সার স্বপ্ন। এত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পেরে খেপেছেন জাভি , “আমার খুবই রাগ হচ্ছে। হারতে আমি একদম পছন্দ করি না। আর এই ম্যাচে হার আমাদের একটুও প্রাপ্যও নয়। মনে হয়, আমরাই ভালো খেলছি,চাপে রেখেছি বায়ার্নকে । কিন্তু এটাই হয়তো চ্যাম্পিয়নস লিগ। আমাদের খেলার পুরোটা সময়ই ধরন সঠিক ছিল, কিন্তু ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি। এই মাঠে জয় পাওয়ার বড় সুযোগ ছিল, কিন্তু আমাদের হেরেই ফিরতে হচ্ছে।
সে জন্যই আমার রাগ হচ্ছে।” সবমিলিয়ে বায়ার্নের বিপক্ষে ভালো যাচ্ছে না বার্সার দিন। ফের হারের মধ্যে দিয়ে এবারের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের প্রথম হার জুটলো বার্সার।
পত্রিকা একাত্তর /মাহমুদ রাফি