২১ আগষ্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) এর পক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনসি।উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ এর সভাপতিত্বে ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান খান এর সঞ্চালনায় আলোচন সভাটি সম্পূর্ণ হয়।
এ সময় বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কিত হত্যাকান্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে। এই দুটি ঘটনা একইসূত্রে গাঁথা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠী। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে অশুভ শক্তি এখনো সক্রিয়। এজন্য তিনি সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান। বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বক্তৃতা করেন। ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান খানের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বেরোবি শোকাবহ আগস্ট পালন কমিটির আহবায়ক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদ, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া প্রমুখ।
এদিকে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
পত্রিকাএকাত্তর /ফারহান সাদিক