হেমন্তের পরে আসে শীত পালাবদলের সাথে,
দিনের বেলায় ভালোয় যায়,ঘুম আসে না রাতে।
শীতের সকালে একটু রোদ সবার কাছেই মিস্টি,
গরিবের জন্য শীত অশান্তি করে সৃষ্টি।
পায় না তারা শীতের পোশাক ভালো,
ভাল্লাগেনা কনকনে আধাঁর রাতের কালো।
চেয়ে থাকে কখন দেখা দিবে আলো।
যখন হয় ভোরবেলা,
শুরু হয় তখন আগুন পোহানোর মেলা।
বাচ্চা থেকে বুড়ো, সবাই মিলে,
পোহায় আগুন খড়কুটো জ্বেলে।
যখন একটু মিষ্টি রোদ উঠে,
সবার মুখে তখন হাসি ফুঁটে।
খোকা দৌড়ে মায়ের আঁচল ধরে,
বলতে লাগে চোখের পানি ছেড়ে।
মা তুই বলেছিলি আজকে কিনবি সোয়েটার,
আমার যে এই শীত সহ্য হচ্ছে না আর।
মা তখন চোখের পানি ছেড়ে বলে,
আমাদের কি ওত শখ করলে চলে।
কি করে তোকে দেব কিনে বল,
রান্নার জন্য আজকে ঘরে একটুও নেই চাল।
তোর বাবাকে একটা চিঠি লিখি,
আর মালিক আজকে কিছু দেয় কি দেখি।
কিছু দিলে ফেরার পথে চাল কিনে নেব,
প্রতিজ্ঞা করছি শীতের পোশাক সামনে বছর দেব।
খোকা আর কিছু পারেনি বলতে,
এই শীতটাও কাটবে তার কষ্ট করতে করতে।
সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষ যদি এগিয়ে আসে,
সাধ্যমতো আমরাও যদি থাকি তাদের পাশে,
তাহলে একটু হলেও তাদের অভাব ঘুঁচে যেত,
এমন কত খোকা মুখে হাসি ফিরে পেত।
সব ভেদাভেদ ভূলে তাই সবার পাশে থাকি,
"আমরা সবাই মানুষ "শুধু এটা মনে রাখি।
তাহলে সকলেরই দিন কাটবে বেশ,
এগিয়ে যাবে মোদের সোনার বাংলাদেশ।
নামঃ মোছাঃ তামাচ্ছুম আনজুম। স্কুলঃ স্কুল অব লরিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল। শ্রেণিঃ নবম। বাসাঃ কুস্টিয়া।