কক্সবাজারে ফুটবল ছুঁড়ে মারার ঘটনা: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে আলোচনা
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফুটবল দিয়ে উড়ন্ত বিমান লক্ষ্য করে শট দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সৈকতে ঘুরতে আসা এক পর্যটক ফুটবলকে লাথি মেরে আকাশে উড়ন্ত একটি বিমান লক্ষ্য করে। এর পরপরই ভিডিওটি মোবাইলে ধারণ করা হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওর ব্যাপারে বিভিন্ন মন্তব্য উঠে আসছে। কিছু মানুষ বলছেন, ফুটবলটি ভাগ্যক্রমে বিমানটিকে আঘাত না করায় বিমানটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। আবার অন্যদের মতে, সৈকতে খেলা নয়, বরং শৃঙ্খলা আনা প্রয়োজন। তবে কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে জানানো হয়েছে, ভিডিওটির মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। সৈকতের যে জায়গায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে, সেখানে কোন পেশাদার ফুটবলারের পক্ষে এক হাজার ফুট উপরে থাকা বিমানকে লাথি দিয়ে স্পর্শ করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় মাসুদ আলম জানান, ২০০ থেকে ২৫০ ফুটের বেশি উঁচুতে ফুটবল লাথি দিয়ে তোলা সম্ভব নয়, তাই ১ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ন্ত বিমানকে ফুটবল মেরে স্পর্শ করা অবাস্তব।
কক্সবাজার জেলা আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম. আব্দুল মান্নান বলেন, সমুদ্র সৈকত খেলার জায়গা নয়। এখানে ফুটবল খেলা নিষিদ্ধ করা উচিত এবং বিমান চলাচলের নিরাপত্তার জন্য ঘুড়ি, ফানুস, আতশবাজি এবং লেজার লাইট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এমনটা না হলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক মানের খ্যাতির জন্য সমস্যা হতে পারে।
অপরদিকে, ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক তপন তালুকদার জানান, সৈকত এলাকায় নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর, তবে সীমিত জনবল নিয়ে অনেক সময় পুরো এলাকা নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয় না।
কক্সবাজার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় ১ হাজার ফুটের বেশি উঁচুতে বিমান অবস্থান করে, এবং ভিডিওটি যে স্থানে ধারণ করা হয়েছে তা বিমানবন্দর থেকে অন্তত ৩ কিলোমিটার দূরে। তাই ফুটবল দিয়ে বিমান স্পর্শ করা সম্ভব নয়।