প্রচলিত অন্যান্য মসলার তুলনায় এলাচ একটি দামি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় এই এলাচ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ের কাটাছরা ইউনিয়নের বঙ্গনুর এলাকার শৌখিন চাষি শরিফ।
মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে তিনি পেয়েছেন অভাবনীয় সাফল্য। বর্তমানে সারাদেশে কৃষক পর্যায়ে এলাচ চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছেন চারা।
জানা যায়, বিএ পাস করার পর তিনি চাকরি না করে জোহরা এগ্রো ফার্মস অ্যান্ড নার্সারি ব্যবসা ও ফলের বাগান শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে ২০০ টি চারা দিয়ে এলাচের চাষাবাদ শুরু করেন। চারাগুলো সংগ্রহ করেন গুয়েতেমালা, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভারত, ইরান ও ইন্দোনেশিয়া থেকে।
ওমর শরিফ জানান, আষাঢ় মাসে এলাচ গাছে ফুল আসে। আর ভাদ্র ও আশ্বিন মাসের শেষদিকে এলাচ পরিপক্ক হয়। কাঁচা এলাচ সংগ্রহ করে রোদে শুকাতে হয়। না শুকিয়ে ঘরে রাখলে পচন ধরবে। ফল পরিপক্ক হলে দেখতে কিছুটা সবুজের ওপর লালচে হবে। চারা লাগানো থেকে ফল পেতে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়।
তিনি আরও জানান, অন্য গাছের ছায়া তলে এলাচের ভালো ফলন হয়। তাই আমি মিশ্রফলের বাগানে এলাচ চাষ শুরু করেছি। আমার দেখাদেখি অনেকেই এখন এলাচের চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। সারাদেশে এর চাষ ছড়িয়ে দিতে বাণিজ্যিকভাবে ১০ হাজার চারা তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।
মিরসরাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, ‘মিরসরাইয়ের পাহাড়ে এলাচ চাষের কথা শুনেছি। তবে এখনো সে বাগানে যাওয়া হয়নি। দেখি এবার গিয়ে এলাচের বাগান পরিদর্শন করে আসবো।’
সূত্রঃ জাগো নিউজ