বৃষ্টি নেই, খানসামায় সেচ দিয়ে চলছে কৃষিকাজ

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর

১৬ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

বৃষ্টি নেই, খানসামায় সেচ দিয়ে চলছে কৃষিকাজ

নসামা উপজেলা জুড়ে খরার কবলে পড়েছে। এ উপজেলায় গত ১৮- ২০ দিন থেকে বৃষ্টির দেখা নেই। সমস্ত খাল-বিল দোলা-নালা শুকিয়ে যাওয়া পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এদিকে কৃষকের লাগানো আমন বীজতলা বড় হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের চাষিরা সেচ ও শ্যালো-মেশিন দিয়ে আমন চারা রোপণ করতে শুরু করেছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেছে, বেশ কিছু দিন আগেও টানা-বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে এ উপজেলার নদ-নদীসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পাট চাষিরস ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ ভরা আমন মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই।

পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে দোলার জমিগুলো ফেটে যাচ্ছে। যে সকল চাষিদের সেচ দেওয়ার সুযোগ নেই, সেই সমস্ত চাষি বৃষ্টির অপেক্ষা করছেন। যাতের সুযোগ আছে তারা বৃষ্টির অপেক্ষা না করে সেচ ও শ্যালো মেশিন দিয়ে আমনের চারা রোপণ করছেন।

উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের কৃষক হাবিবুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম জানান, বেশ কিছু দিন থেকে বৃষ্টি নেই। প্রখর রৌদ্রে জমির পানি শুকিয়ে চৌচির হচ্ছে। এ দিবে বীজতলাও বড় হয়েছে। তাই বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে সেচ দিয়ে আমন রোপণ শুরু করেছি। এবার সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে এবছর আমন ধান লাগাবেন। এভাবে সেচ দিয়ে আমনের চাষাবাদ করলে উৎপাদন খরচ বাড়বে।

একই উপজেলার কৃষক মনছুর আলী জানান, টানা খরায় সমস্ত খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে আকাশের কাল মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টির কোন লক্ষণ নেই। তাই বাধ্য হয়ে সেচ ও শ্যালোমেশিন দিয়ে আমন চাষের জমিতে হাল-চাষ শুরু করেছি। এ বছর ৫ একর জমিতে আমনের চাষাবাদ করবেন তিনি। তিনি আরও জানান, বৃষ্টিপাত না হলে এবারে আমন চাষে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বাড়বে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানিয়েছেন চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৩৭৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি জানান, বৃষ্টি না থাকায় সেচ ও শ্যালোমেশিনের পানি দিয়ে চাষিরা আমন ধান রোপণ শুরু করেছে। শুধুমাত্র বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধান রোপণ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

পত্রিকাএকাত্তর /আজিজার রহমান

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news