সম্প্রতি সংঘটিত শিক্ষক হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নসহ সারাদেশে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবন চত্বরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, সারাদেশে শিক্ষকদের উপর ন্যক্কারজনক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি, বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই। দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি করছি।

তিনি আরও বলেন, সাভারের উৎপল কুমার শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ছিলেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্যই তাকে মৃত্যুর মাধ্যমে তার প্রতিদান দিতে হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ না করতে পারলে আমরা সফল হতে পারব না। স্বপন কুমারকে যখন জুতার মালা পড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা আর নেই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, যারা এ ধরনের কাজে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থার অনুরোধ করছি রাষ্ট্রের কাছে। অপরাধী যে-ই হোক না কেন, তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে এসে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বিচার করলে কেউ আর এমন ন্যক্কারজনক কাজ করার সাহস পাবে না।

এমন আন্দোলনের প্রতি সহমত পোষণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.শামীমা বেগম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষকদের উপর অত্যাচার নির্যাতন এমনকি গলায় জুতার মালা পড়ানো হলো। এই অপমান শুধু ঐ শিক্ষকের নয়, মনে হচ্ছে এই অপমান সবার। এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকদের উপর অমানবিক নির্যাতন প্রত্যক্ষ করতেছি।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উন্মেষ রায় এবং সঞ্জয় সরকারকে হামলা করা হয়েছে, নড়াইলে শিক্ষক স্বপন কুমার তার শিক্ষার্থীকে যৌক্তিকভাবে বাঁচাতে চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কারণে জুতার মালা গলায় পড়তে হয়েছে, সাভারে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ এবং বাধা দেয়ার কারণে শিক্ষক উৎপল সরকারকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে পেটাতে মেরেই ফেলেছে।

এই ঘটনা আজ নতুন নয়, এর পূর্বেও বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় কুন্ডুকে অপমান হতে হয়েছে ও জেল জরিমানা হয়েছে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর অরুণ কুমার বসাক স্যারের জায়গা জমি দখল করে নেয়া হচ্ছে।

পত্রিকাএকাত্তর /অশ্রু মল্লিক