হাফপাস নিতে নারাজ সদরঘাটগামী বাস পরিবহন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

২১ মে, ২০২২, ১ year আগে

হাফপাস নিতে নারাজ সদরঘাটগামী বাস পরিবহন

রাজধানীতে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখানো সাপেক্ষে সরকারি ছুটিরদিন ব্যতীত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য হাফপাশ নির্ধারণ করা হয়। তার আগে থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য সদরঘাটগামী প্রতিটি বাসে হাফপাশ নিশ্চিত করা হয়েছিল।

কিছুদিন পার হতে না হতেই পুনরায় শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে পূর্ণভাড়াই নিচ্ছে সদরঘাটগামী বাসগুলো। সদরঘাটঘামী বাসগুলো: ভিক্টর ক্ল্যাসিক, আজমেরী গ্লোরী, সাভার পরিবহন,তানজিল পরিহন, বিহঙ্গ পরিবহনসহ অন্যান্য সবগুলো বাসই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কথা দিয়েছিলেন তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে হাফ ভাড়া নিবেন।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হাফপাশ নিয়ে জবির নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজমেরী গ্লোরী, সাভার পরিবহন, ভিক্টর ক্লাসিক সহ বেশকিছু বাসে ফুল ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।অন্যথায় শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করে বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহাদাত বাস ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমি প্রায়শই বংশালে টিউশনে যাই। রেগুলার ভাড়া ১০ টাকা। আমি স্টুডেন্ট ভাড়া হিসেবে ৫ টাকা ভাড়া দিতে চাইলে বলে ৫ টাকা ভাড়া নাই। আমি বাধ্য হয়ে ১০টাকা দিয়ে দেই।

আমার অনেক সহপাঠীদের দেখলাম যারা দূরে থাকে বাসের ভাড়া যদি ৪০ টাকা হয় স্টুডেন্ট ভাড়া ২০ টাকা নিতে চায় না। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বাসে নিতে চায় না। এক বোন আমাদের সহপাঠীকে নাকি হাফ পাস দেয়ার কারনে বাস থেকে নামিয়ে দিছে৷ এরকম অনেক অনেক অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।

আরেক জবি শিক্ষার্থী রানা বলেন, এমনটা সবার সাথেই হয়। বিশেষ করে আজমেরী গ্লোরী ডিরেক্ট বলে কিসের হাফ পাশ, ৫টাকা ভাড়া নাই। আর সাভার পরিবহন শাহবাগ,সায়েন্স ল্যাব এইদিকের যাত্রী নিতেই চায় না, দরজা বন্ধ করে রাখে।

এই বিষয়ে বিভিন্নসূত্রে কয়েকজন বাস ড্রাইভারের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছু চালক আছেন তারা মালিকদের কথা মত চলতে যেয়ে শিক্ষার্থীদের থেকে হাফ ভাড়া নিতে অস্বীকৃতি জানান। মালিকপক্ষ থেকে চাহিদা কম থাকলে আমাদের হাফ ভাড়া নিতে সমস্যা নেই বলে তারা জানান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল জানান, তারা আমাদের বলেছিল আমাদের শিক্ষার্থীদের কার্ড দেখালে হাফ ভাড়া নিবে। এখন বিষয়টি অবগত হলাম। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনে আগামী রবিবার (২২ মে) আবার অফিসে ডাকা হবে। আমরা হাফভাড়া নিয়ে তাদের সাথে আবার কথা বলবো।

হাফপাশ নিয়ে আজমেরী পরিবহনের ম্যানেজার সফিক বলেন, জবির কোনো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যদি হাফ ভাড়া না নিতে চায় তাহলে বাসে বসেই যেন আমাকে কল দেয়। আমার নাম্বার ওয়েবিলে লিখা আছে। তখন আমি নিজে তাদের বিচার করবো। তিনি আরোও বলেন, সবাই তো একরকম জ্ঞান রাখে না। কেউ হয়ত আচরণ খারাপ করে ফেলে আমরা বিষয়টি নজরে রাখবো।

সাভার পরিবহনের ম্যানেজার মনির বাসে হাফ ভাড়া না নেওয়ার, স্বল্প দূরত্বের যাত্রী না উঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ রকম আচরণ কেউ করে না। যদি আগে কেউ এমন করেও থাকে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন করবে না বলে ওয়াদা দেন তিনি।

পত্রিকা একাত্তর /অশ্রু মল্লিক

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news