হাঁটু পানিতেই চলছে হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসা সেবা

চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি

৮ মে, ২০২২, ১ year আগে

হাঁটু পানিতেই চলছে হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসা সেবা

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাকলিয়া বলির হাট পুলিশ বিট এলাকায় হাঁটু পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় চলছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসা কার্যক্রম!নগরীর বাকলিয়া থানাধীন 'বলিরহাট পুলিশবিট' এলাকায় অবস্থিত 'চসিক হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয়' নামক প্রতিষ্ঠানটি হাঁটু পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় রুগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন।রবিবার ৮ মে, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি চসিক ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের পুরাতন কার্যালয়ে অবস্থিত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে অথৈ পানি। মাঝখানে হাঁটু পানিতে ডুবে আছে পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের পুরাতন কার্যালয়টি। ওখানেই অবস্থিত 'চসিক হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয়'। চিকিৎসালযের ভিতরে পানিতেই চেয়ার নিয়ে বসে আছে একজন ডাক্তার ও একজন সহকারী। হাঁটু পানি ভেদ করে রোগীরা আসছেন। চিকিৎসাও দিচ্ছেন ডাক্তার। কোনো কুণ্ঠাবোধ নেই তাঁর মাঝে। মনে হচ্ছে খুব স্বাভাবিক!

চিকিৎসা নিতে আসা একজন রুগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হালকা বৃষ্টিতে পানিতে ডুবে যায় এ প্রতিষ্ঠানটি। ডাক্তার পানির মাঝেই বসে থাকে। রুগীরাও হাঁটু কিংবা কোমর পানিতে যাতায়াত করেন। রোগের কারণে বাধ্য হয়েই যেতে হয় তাদের। চাকরির কারণে ডাক্তারকেও চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু এভাবেই চলছে দিনের পর দিন। কোনো সমাধান হচ্ছেনা। এসব দেখে পাশের সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী একজন অবাক হয়ে বললেন, 'ডিজিটাল যুগে কি আজব দৃশ্য!'

এসময় চিকিৎসা নিতে আসা রুগীরা ভবনটি সংস্কারের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের স্বদিচ্ছার অভাব রয়েছে। নইলে এ ভবনটি সংস্কার করতে বেশি টাকার প্রয়োজন নেই। তাঁদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকও। তিনি বলেন, এ বেহাল দশার কথা কতৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। টেলিভিশন ও পত্রিকাতে অনেকবার এ খবরটি ছাপা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিয়ে চসিক ওয়ার্ড (১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া) কাউন্সিলর জনাব শহিদুল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে জানান, 'দাতব্য চিকিৎসালয়ে জলাবদ্ধতার কথা আমাদের জানা আছে। তাই এটির ব্যাপারে একটি পরিকল্পনাও আছে আমাদের।'

এসময় পুরাতন ভবনটি ভেঙে সম্পূর্ণ নতুন করে তৈরী করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, 'ভবনটি ভেঙে আরো উঁচু করে ওখানে নতুন ভবন তৈরীর পরিকল্পনা ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে।পর্যায়ক্রমে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে এ সমস্যা আর থাকবেনা।'

পত্রিকা একাত্তর / ইসমাইল ইমন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news