গত কয়েকদিনে চোরাকারবারি মাদক পাচার নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রতি দিনমজুর খেটে খাওয়া মোনাজাত বরকন্দাজের দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়ায় উক্ত প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের মোনাজাত বরকন্দাজ।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি। পত্রিকা একাত্তরের এর সাক্ষাৎকার প্রতিবাদে মোনাজাত বরকন্দাজ দাবি করেছেন, তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিরীহ দিনমজুর কৃষক হিসেবে প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে সম্মানের সঙ্গে কৃষি সহ দিনমজুর কাজ করে আসছে,তিনি একজন নিয়মিত ধান চাষ করে আসছেন।
ছোটবেলা থেকেই তিনি মাঠে কাজ করা অভ্যাস্ত। কয়েকটি প্রচার মাধ্যমে তাকে মাদক,চোরাকারবারি,নারী পাচারের সঙ্গে সক্রিয় থাকার কথা উল্লেখ করেছে। এ তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কোনোরকম চোরাকারবারিদের সঙ্গে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই ও কখনই ছিল না।
কৈখালী ইউনিয়নের কেউ এ দাবি করতে পারবে না। পূর্ব শত্রুতার জেরধরে মোটা টাকার বিনিময়ে এমন মিথ্যাচার সংবাদ এসব কাহিনীও সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও তিনি প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয় ৩ নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার আমিনুর মল্লিক ও ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাশিদুল ইসলাম পত্রিকা একাত্তরের সাক্ষাৎকারে জানান তার বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের দাবি প্রমাণসহ দেখাতে পারেন নি। তিনি কখনো চোরাকারবারি করেননি।
এ ধরনের কোনো অভিযোগ কেউ কখনো উত্থাপন করেননি। এমনকি ভবিষ্যতেও করতে পারবে বলে আশা করেনি। তাকে মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত করে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে যা কল্পকাহিনী, হাস্যকর ও মিথ্যা।
প্রতিবেশী নিজ গ্রামের বা অন্য কোনো স্থানের কেউ তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না বলে দাবি করেন মোনাজাত বরকন্দাজ। তিনি কোনো প্রকার চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত নয়। এ ধরনের তথ্যও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে তিনি বলেন, কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম কোনো প্রকার খোঁজ-খবর না নিয়ে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এ সংবাদ প্রকাশের আগে তার সঙ্গে কেউ কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি এবং কোনো প্রকার কথা বলেননি, যা সংবাদ মাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের নীতিমালার বাইরে।
এমনকি তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সমর্থনে কোনো অভিযোগকারী বা ভুক্তভুগীর বক্তব্য নেই। কাজেই স্পষ্টতঃ প্রমাণিত হয় যে, এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
পেছনে থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কেউ প্রভাবিত করে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং সম্মান নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যম গুলোকে বিনীত অনুরোধ করেন মোনাজাত বরকন্দাজ।
পত্রিকা একাত্তর /মোঃ আলফাত হোসেন