তরমুজ যেন সোনার হরিণ

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৯ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

তরমুজ যেন সোনার হরিণ

ছোটবেলায় বৈশাখ মাস এলেই কয়েক দিন পর পর বাবা বড় বড় তরমুজ কিনে আনতেন, দামও ছিল সস্তা। সবাই পেটপুরে খেয়ে একটা সময় বিরক্ত হয়ে বলতাম, আর তরমুজ-টরমুজ ভালো লাগে না!

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পল্লিবিদুৎ এর ফুটপাতে বিক্রি করা তরমুজ কেজি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ভুক্তভোগীরা জানান তরমুজের দাম আকাশ চুম্বি হয়ে গেছে, এটা আমাদের মত সাধারন ক্রেতার কাছে সোনার হরিণ, বিক্রেতারা বলেন কাস্টমার রা তরমুজ কেটে চেক করে কিনে, আমরা তো আর সব গুলো কেটে কিনতে পারি না, ১০০ তরমুজ ১০-১২ কেজি ওজনের পাইকারি কিনতে হয় ৪৫০০০ টাকা তার পরেও ১৩-১৪ টার মত ফাটা নষ্ট, সাদার কথা বাদ ই দিলাম।

আমদের কথা কে শুনবে? আমরা ও তো মানুষ, ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বড় আকারের একটি তরমুজ কিনে আনতে হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। এ কারণে তারা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

তরমুজের এই লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কারণে সাভারের ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আশুলিয়ার ডেন্ডাবরের বাসিন্দা গোলাম আজিম মাহমুদ বলেন, হঠাৎ অসহ্য গরম পড়েছে ঢাকায়। বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না। এর মধ্যে চলছে তাপদাহ। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। এ সুযোগে তরমুজের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন এখানকার মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।

একই প্রসঙ্গে পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার শওকত ওসমান বলেন, কয়েকদিন আগেও গ্রামের বাড়ি ভোলায় মাঝারি আকারের একটি তরমুজ কিনেছিলাম ১২০ টাকায়। এখন ওই আকারের তরমুজ ৫০০ টাকার নিচে মিলছে না।

তরমুজ বিক্রেতা জানান ১৮৭ পিছ এর টাকা পরিশেষ করে হাটে এনে দেখেন তরমুজের জায়গায় ১৫০ পিছ পেয়েছেন, তরমুজ কিনতে আশা গার্মেন্টস কর্মী আকলিমা জানান,অল্প টাকার বেতনে চাকুরি করি,সন্তানদের বছরের ফল খাওয়াতে হিমসিম খাচ্ছি,বাজার মনিটরিং করা দরকার।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news