ইবিতে বহিরাগতদের হামলার বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

১৬ এপ্রিল, ২০২২, ২ years আগে

ইবিতে বহিরাগতদের হামলার বিচারসহ ৮ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে উদ্বেগজনক ভাবে বহিরাগত দুষ্কৃতকারীদের অবাধ বিচরণে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট ও শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা উল্লেখ করে ৮ দফা দাবী জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর ৮ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।

৮ দফা দাবি গুলোর হলো শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরপেক্ষ বিচার করতে করা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভুক্তভোগীর যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করা, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দ্বারা ছাত্রীদের হয়রানি এবং ইভটিজিং পুরোপুরি নির্মূল করা, ক্যাম্পাসে অস্ত্রধারী বহিরাগত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা, ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরে মাদক সরবরাহকারী বহিরাগতদের চিহ্নিত করে আইবের আওতায় আনা, ক্যাম্পাসে বহিরাগত দুষ্কৃতকারীদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা এবং বেপরোয়া ভাবে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করা, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মদদ দাতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা, ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের আশেপাশের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে স্থায়ী সমাধান করা।

প্রসঙ্গত, বিগত ১৩ এপ্রিল বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী বেপরোয়া ভাবে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিবি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসানের হাতের সাথে ধাক্কা লাগলে বাকবিতন্ডায় জড়ান তারা। পরে বহিরাগত সন্ত্রাসদের দেশীয় অস্ত্রের হামলায় হাসিবের বামহাতের হাড় ভাঙে। এর প্রেক্ষিতে এই ৮ দফা দাবি জানান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে একটি স্মারকলিপি দিয়ে গেছে। আমরা মারামারি ঠেকাবো কি করে !এক্স এখন মোটিভেট করতে হবে। এখন কারা এগুলো করছে এখানে আমাদের প্রোভিসি ট্রেজারার আছেন, দরকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং লোকাল লোকজনের সাথে আলাপ করবো। এগুলো হওয়ার পেছনে মাদক গাজা এসব একটা কারণ হতে পারে। নৈতিকতার উন্নয়ন ছাড়া এগুলো আটকানো সম্ভব না। এখন পারস্পারিক বোঝাপড়া আর আলোচনা মাধ্যমে এবিষয় সমাধান করতে হবে।

বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা কোনভাবেই সমর্থন করিনা যে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করবে। আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। গতকাল থেকে ক্যাম্পাস গেটে পুলিশ রাখা হচ্ছে। অফিস টাইম এর পরে যে সময় বহিরাগতরা বেশি প্রবেশ করে সেসময় পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে।

পত্রিকা একাত্তর/ সামী আল সাদ আওন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news