বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাবে ছাত্রলীগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

১০ মার্চ, ২০২২, ২ years আগে

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাবে ছাত্রলীগ

শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) কর্তৃক আজ (১০ মার্চ ২০২২-বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

আলোচনা সভায় সম্মানীত অতিথি হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব বি এম মোজম্মেল হক, আ্ইন সম্পাদক জনাব কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব নজরুল ইসলাম বাবু এম পি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রী লেখক ভট্রাচার্য। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব এস. এম. আকতার হোসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনাব এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন- ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ রাজনীতির কবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর সৃষ্টি- বাঙালি জাতির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার এক মহাকাব্য। যে মহাকাব্যটি বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রামের ধারা ও স্বাধীনতার লালিত স্বপ্ন থেকে উৎসারিত হয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই এমন মহাকাব্যিক ভাষণ উচ্চারণ সম্ভব ছিল। কেননা তিনিই ছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা জাগ্রত ছিল ও ভবিষ্যতে ও থাকবে। ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে আপনাদের। ৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেননি। ভাষণকে তারা ভয় পান।

৭ মার্চের ভাষণের মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। সে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু পারেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে বীর বাঙালি যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তিনি আরও বলেন, রমজানকে সামনে রেখে এবং ইউক্রেন যুদ্ধকে ইস্যু করে বিএনপিপন্থি কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। এসব ব্যবসায়ীরা খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখার কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতার এই ভাষণের দিকনির্দেশনাই ছিল সে সময় বজ্রকঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র। বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে দেওয়া ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের ইতিহাস, ভূগোল, মানচিত্র পাল্টে দিয়েছিল। তাই এই ভাষণ আজ বিশ্বের সম্পদ। জাতির পিতার এই ভাষন প্রায় ছিল ১৯ মিনিটের মতো। এই ভাষণটি সারা বিশ্বে প্রত্যেক রাষ্ট্রনায়করা প্রশংসা করেছে। এই ভাষনের অংশ হিসেবে আজকে আমরা এই লাল সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বীজ বপন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে তার আদর্শ ততদিন থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এগিয়ে যাবে। সবাইকে একত্রিত ও ঐক্যবদ্ধ হয় কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী লেখক ভট্রাচার্য বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা রাজনৈতিক ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের অনন্য সাধারণ ভাষণটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। পৃথিবীর অন্য সব সাড়া জাগানো ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কোন প্রকার লিখিত নোটস ছাড়াই যেন রাজনীতির এক কবিতা পাঠ করেছিলেন সেদিন। তার ঐতিহাসিক বক্তব্য শুনে বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং আমরা অর্জন করি লাল সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাণ। তার আদর্শে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তৎপরতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

পত্রিকা একাত্তর / অশ্রু মল্লিক

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news