বটিয়াঘাটায় সরিষা ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের হসি

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

বটিয়াঘাটায় সরিষা ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের হসি
দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার আমিরপুর ইউনিয়ন এর হাদিরাবাদ ব্লকের শামগঞ্জ গ্রাম, সুরখালী ইউনিয়নের পাইসে মারি, সনকেমারি গ্রামে, জলজমা ইউনিয়নের ঝড়বাঙ্গা, বটিয়াঘাটা ইউনিয়নের বসুরাবাদ,গঙ্গারামপুরউ, বালিয়াডাঙ্গা চলতি মৌসুমে সরিষা চাষের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ চলছে। সরিষা ফুলের হলুদ দেশে মৌমাছির গনমিছিলে মুখরিত ফসলের মাঠ। হলুদের সমারোহে সজ্জিত সরিষার ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে বটিয়াঘাটা উপজেলায় আমিরপুর ইউনিয়নে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ এর চেয়ে অনেক বেশি চাষ হয়েছে। দুটি ফসলের মাঝে কৃষকরা সরিষা চাষের ফলনকে বোনাস হিসেবে দেখছেন কৃষকরা। সরিষা কেটে ওই জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে কৃষি জমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। একসময় কৃষকরা আমন ধান কাটার পর জমি পতিত ফেলে রাখতো। সময়ের সাথে সাথে তা পুরোটাই পাল্টে গেছে।

আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা লাগাতে হয়। যা মাত্র ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারেন। বটিয়াঘাটা উপজেলার আমিরপুর, বালিয়াডাঙ্গা,ভান্ডারকোট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সাজ্জাদ আলী সরদার ও কৃস্ন গাইন এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশের অন্যতম একটি তৈল ও মসলা জাতীয় খাদ্যের নাম সরিষা। সরিষা চাষ খুবই লাভজনক একটা ফসল। অতি অল্প সময়ে, অল্প পুজিতে কৃষকরা লাভবান হন তাই অধিকাংশ কৃষক এখন সরিষা চাষের দিকে ঝুকছেন। এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে সরিষা আবাদ করতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। যদি সঠিক ভাবে পরিচর্চা করা যায় তাহলে প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৫ থেকে ৬ মণ সরিষা।

এলাকার চাষি গোলক কুমার পাল জানান, দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে দেড় হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে। সরিষার ফুলে খেত ভরে গেছে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় মণ সরিষা পাওয়া যাবে।ইউনিয়নের আমন ধান কাটার পর দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি বেশ ভাল ফলন হবে। এই সরিষা বিক্রি করে বোরো আবাদের তেল ও সার কেনার টাকা জোগাড় হয়ে যাবে। তেতুলতলা গ্রামের কৃষক সোহরাব বলেন, "ধান আবাদে কোনও লাভ নেই, উৎপাদন খরচই উঠে না। সরিষা আবাদে খরচ কম লাভ বেশি।

এক থেকে দুই বার সেচ দিলে চলে। বাজার দর ভালো হলে একমণ সরিষা ১৭০০-১৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। এ কারণে আমি আর ধান আবাদে যাচ্ছি না। একমণ ধান ৬০০ টাকা আর একমণ সরিষা ১৭০০ টাকা। ধান কেন আবাদ করতে যাবো? "উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন,সরিষা মূলত একটি মসলা জাতীয় ফসল। স্বল্প সময়ের মধ্যে কৃষককে অধিক ফলন পেতে নানা ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে কৃষকের কোন সমস্যা না হয়। আশা করছি প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।

পত্রিকা একাত্তর/আক্তারুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news