"শপথের আগেই চমক" হলেন আলোর ফেরিওয়ালা

উপজেলা প্রতিনিধি, হরিনাকুণ্ডু

৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

"শপথের আগেই চমক" হলেন আলোর ফেরিওয়ালা

নির্বাচনের আগে আমাদের দেশে অনেক নেতার আবির্ভাব ঘটে। তাঁরা দেন নানান প্রতিশ্রুতি। আবার কখনো দেখা যায় তাঁরা এলাকার বিভিন্ন প্রকার উন্নয়নের কাজ করতে। কখনো কখনো দেখা যায় শীতবস্ত্র,ত্রাণ সামগ্রীসহ বিতরণ করতে, কখনোবা তাঁরা গ্রামের রাস্তাঘাটের খরাখন্দে সামান্য কিছু নিম্নমানের ইটদিয়ে হয়ে যান সমাজ সংস্কারক সমাজসেবক জনদরদি উন্নয়নের রুপকার হ্যানত্যান সাত-সতেরো।

আর এসবএর পিছনে থাকে তাদের সাজানো গোঁজানো কিছু ফেজবুক খাটলা। লাইক কমেন্ট গুলোও পাল্লাদিয়ে করেন তাদেরই পছন্দর কিছু খুদ গড়া খাওয়া ভক্ত বন্দ।

কিন্তু নির্বাচনের পর তাদের আর খুজে পাওয়া যায় না। তাঁরা আর পরে না রঙ্গিন টুপি,পড়েনা একওজুতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এমনই জানান সচেতন ২নং জোড়াদাহ ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের শিক্ষক চন্দনমোর্শেদ।

এসব নামধারী মুখোশধারী নেতাদের ভীরে আলোর ফেরিওয়ালা হয়ে সুবিধা বঞ্চিত সাধারণ মানুষের পাশে হাল ধরতে দেখা যায় জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়াকে।

তিনি শীতবস্ত্র বিতরণ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ব্রিজ কালভার্টে সংস্করণসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু সেটিযে বছরের পর বছর ধরে করে যাবেন শুরুতে সেটি ছিলো সুবিধা বঞ্চিত সাধারণ মানুষের অজানা ধারনা।

সেই ধারণা পাল্টে দেওয়ার চ্যালেন্জ গ্রহণ করেন জনাব জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া। ধীরে ধীরে তিনি এলাকায় সাধারণ মানুষের মনজয় করে জয় করে ফেলেন,সামাজিক রাজনৈতিক এমনকি মিডিয়া জগৎকেও। হয়ে যান সকলের আস্থার ঠিকানা।

একের পর এক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পাল্টে দেন এলাকার চিত্র। পেয়ে যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিক। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনায়াসে পরাজিত করে হয়ে যান চেয়ারম্যান। কেননা তাঁর ছিলো জনসাধারণের উপর একান্ত আস্থা ভরশা বিশ্বাস ভালোবাসা।

অনন্যর মতো তিনিও দেন নানান প্রতিশ্রুতি কিন্তু তিনি সেটি ভূলেযাননি তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার 'গ্রাম হবে শহর' বাস্তবায়নে ভেড়াখালী বাজার মোড় থেকে কবরস্থান মাঠ পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে রোড লাইট দিয়ে আবারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করে হতে যাচ্ছেন মানবতার ফেরিওয়ালা।

এব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ২নং জোড়াদাহ ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক জানান সত্যি বলতেকি হরিণাকুণ্ডুতে এবার সাধারণ জনতা তাদের পছন্দ মতো পরিক্ষিত প্রার্থীকে বেচে নিয়েছেন। শুরু হয়েছে ভালোকাজের প্রতিযোগিতা। ইতিমধ্যে যার সুফল পেতে শুরু করেছে ইউনিয়ন বাসি।

এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার জনাব জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া জানান,মানুষের শেষ ঠিকানা কবরস্থান,মানুষের জন্য ভালো কাজ করতে পারলে ভালো লাগে। আমি মনে করি এটি নিঃসন্দেহে একটি ভাল কাজ। অনেকে বলেছিল মরা মানুষদের আবার আলো লাগবে কেন? যে যাই বলুক আমি মানুষের মাঝে এধরণের ভালো কাজ করতে চাই। হতে চাই জনসাধারণের সেবক।

পত্রিকা একাত্তর/ উদয়

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news