জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে জনগণের সাথে তামাশা

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১ year আগে

জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে জনগণের সাথে তামাশা

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান আজ ১লা সেপ্টেম্বর ২০২২ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমানোকে জনগণের সাথে তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, ৫ আগষ্ট পূর্ববর্তী সময়ের দাম নির্ধারণ করুন। জনগনের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে তামাশা করা বন্ধ করুন। দাম বৃদ্ধির পর প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়; ৫ টাকা কমানোর পর বিক্রি হবে ১০৯ টাকায়। অকটেন বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকায়, এটি নামবে ১৩০ টাকায়। পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়, তা কমে হবে ১২৫ টাকা এটা হাস্যকর ।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি, বিপিসির লোকসান এবং জ্বালানি তেল পাচারের অজুহাত তুলে সরকার গত ৫ আগস্ট সকল প্রকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছিলো। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিল পরিবহন ভাড়া এবং দ্রব্যমূল্য। সে সময় যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রমাণ করা হয়েছিল যে, দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করলে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করার তো কোন কারণ নেই বরং পূর্বের দামেই বিক্রি করা সম্ভব। বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী এবং বিপিসির আর্থিক হিসাবের অসঙ্গতি (যা সংসদীয় কমিটি বলেছে) দূর করলে জ্বালানি তেলের দাম কমানো সম্ভব, এটা এখন প্রমাণিত।

জনমনে অসন্তোষকে প্রশমিত করার নামে গতকাল সকল প্রকার জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর যে ঘোষণা সরকার দিয়েছে তা জনগণের সাথে তামাশা এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধা বৃদ্ধির নতুন পাঁয়তারা।এই মূল্য কমার কারণে পরিবহনের ভাড়া কমবে না বরং পরিবহন মালিকদের লাভ বাড়বে এবং সরকারের রাজস্ব কমবে মাত্র। নেতৃদ্বয় বলেন, সীমা ছাড়া দাম বাড়িয়ে নামমাত্র দাম কমানোর এই নীতি মূলত এক ধরনের প্রতারনা। এতে জনগণের উপকার হয় না বরং ব্যবসায়ীদের মুনাফা বৃদ্ধি হয় মাত্র। ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম কমিয়ে পূর্বের দাম নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা চাই দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ করুন। নইলে জনরোষের শিকার হবেন।

পত্রিকা একাত্তর /তারেক ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news