প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় ধ্বংসের মুখে শিক্ষা ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার

স্টাফ রিপোর্টার

৩০ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় ধ্বংসের মুখে শিক্ষা ব্যবস্থা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায়া প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় ধ্বংসের মুখে লালুয়া এস কে জে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিজের ইচ্ছে মতো বিদ্যালয়ে আসা, যাওয়া করে।সে নিয়ম-নীতির ধার ধারে না। ৩-৪ প্রিরিয়ডই তার নির্দেশে বিদ্যালয় ছুটি দেয়া হয়। মামলা চলাকালীন সময়ে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজ চাচাকে বিদ্যালয়ের সভাপতি করেন এসব অভিযোগ পাওয়া যায়। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে লালুয়া এস কে জে বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জুনায়েদ হোসেনের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, প্রধান শিক্ষক নানান অজুহাতে বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেন না। বিদ্যালয়ে আসলেও পূর্ণ সময় অবস্থান না করে চলে যান। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহনের পরে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করে। এ টাকা না দেওয়াতে সে ওই কমিটি গ্রহন না করে নিজ চাচাকে আহবায়ক করে এ্যাডক কমিটি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান কলাপাড়া সহকারী জজ আদালেত গত ২০-০৬-২০২২ইং তারিখ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৫৯।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ সালের বিদ্যালয়ের নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন মোঃ হাবিবুর রহমান। ২০১৭ সালের ৩ জুন কমিটির মেয়াদ শেষ হবে বিধায় পুনরায় একই সালে ৩ মে অভিভাবক সদস্যদের সরাসরি পাঁচ ভোট পেয়ে হাবিবুর রহমান দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন।কিন্তু প্রতিপক্ষ সভাপতি প্রার্থী প্রধান শিক্ষককের চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম খান নির্বাচিত না হওয়ায় নির্বাচিত সভাপতির কাগজ পত্র গ্রহন করেনি।

মিথ্যা অভিযোগ করে সুকৌশলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড থেকে ওই কমিটি ভেঙে তার চাচা কে আহ্বায়ক করে এ্যাডক কমিটি অনুমোদন করান। নির্বাচিত সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বোর্ড আমার কমিটি অনুমোদন করেন। বিদ্যালয়ের খরচা বাবদ আমার নিকট পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে প্রধান শিক্ষক। টাকা না দেওয়াতে সে আমার কমিটির কাগজ গ্রহন না করে বোর্ডকে ভুল বুঝিয়ে ২ দিনের মাথায় ২৬ জানুয়ারি গোপনে এ কমিটি ভেঙে দেন। পরে তার চাচাকে আহবায়ক করে এ্যাডক কমিটি অনুমোদন করান।

আমি এ্যাডক কমিটির বিরুদ্ধে কলাপাড়া আদালতে মামলা করলে গত ৭ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ আমার পক্ষে রায় দেন এবং আমার কমিটি বৈধতা দেন।এমনকি প্রধান শিক্ষাকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রধান করেন আদালত। কিন্তু এসব নিয়ম-নীতির ধার না ধরে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মামলা চলাকালীন সময়ে গোপনে তার চাচাকে সভাপতি করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। অভিভাবক মোঃ আনিস প্যাদা ও জহিরুল ইসলাম জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে না।মামলা নিয়েই সে ব্যস্ত থাকেন। কোন দিনই সকল ক্লাশ হয় না।

খেয়াল খুশি মতো সে কাজ করে। এতে আমাদের সন্তানদের পড়াশুনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জুনায়েদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। তবে নিয়ম- কানুন মেনেই বিদ্যালয় চলছে । কমিটি বোর্ড থেকে অনুমোদন দিয়েছে। এ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। কলাপাড়া শিক্ষা অফিসার মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাঃ মুজিবুর রহমান জানান, নিয়ম না মেনে যদি কোন বিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কমিটির বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে।

পত্রিকা একাত্তর /মনিরুল ইসলাম

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news