মৃত্যু পর্যন্ত এই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না: জয়

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৬ জানুয়ারী, ২০২২, ২ years আগে

মৃত্যু পর্যন্ত এই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না: জয়
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

সদালাপী, হাস্যোজ্জ্বল ও কর্মীবান্ধব নেতা ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্বের কারণে ছাত্র-শিক্ষকসহ সব মহলে হয়েছেন জনপ্রিয়। বলছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের কথা।

ছিলেন শহীদ সার্জেট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন সম্পাদক এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক পরবর্তীতে হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি।

দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের আগেই ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শোভন-রাব্বানী। তাদের অব্যাহতির পর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। মাস তিনেক ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের পূর্ণ দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খানের বিরুদ্ধে 'বিস্ফোরক' কিছু অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ। শনিবার (১৫ জানুয়ারী) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসব অভিযোগ করেন রিয়াদ।

এ বিষয়ে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, পারিবারিক ঐতিহ্যগত কারণেই ছাত্রলীগের মতো আদর্শিক একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে জীবন শুরু করতে পেরেছি। আশা করি, মৃত্যু পর্যন্ত এই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না। তবে রাজনীতিতে অপপ্রচার থাকবেই। ব্যক্তি স্বার্থেই অনেকেই নানাভাবে গতি থামিয়ে দেয়ার জন্য অপচেষ্টা চালান। তাছাড়া মুখোশধারী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরাও এই প্রপাগান্ডায় সামিল হন। তবুও আমি বলবো, আমার অন্তর্যামীর শপথ! আমার যৌবনের ভালোবাসা, আবেগ-উচ্ছ্বাস আর পরম নির্ভরতার ঠিকানা, প্রাণের প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসেই এবং আমৃত্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে রাজনীতি করতে চাই।

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম চ্যলেঞ্জ ছিল সংগঠনকে বিতর্কমুক্ত করা। আপনারা দেখেছেন যারা বিতর্কিত ছিল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য করোনার এ মহামারির মধ্যেও দুটি মহানগরসহ ৩১টি সাংগঠনিক জেলা কমিঠি ঘোষণা করেছি। হেফাজত মামুনুল হকদের উগ্রসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধেও ছিলাম সোচ্ছার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে করোনা মহামারিতে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। খাদ্য চিকিৎসা থেকে শুরু করে করোনা রোগীর মৃত্যু লাশ দাফনেও ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরগরম কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির প্রাক্বালে। তখন বলা হয় জয় আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।

ইয়াজ আল রিয়াদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার বাবা নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করেছেন। তিনি সে নির্বাচনে ভিবিন্ন মাধ্যমে ম্যাকানিজম করেছেন নৌকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন অনেক নেতাকর্মী।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news