নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানি করা পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণে রেকর্ড গড়েছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভা। রোববার ঈদের নামাজ শেষ করেই পশু কোরবানি শুরু করেন ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
এর পর থেকেই পরিচ্ছন্ন বিভাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হয়েছে। ফলে ঈদের পরদিন সকালেই পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে পৌর এলাকা পেয়েছে পৌরবাসী। বর্জ্য অপসারণে সার্বিক সহযোগিতা করায় পৌরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঘোড়াশাল পৌর মেয়র মোঃ আল মুজাহিদ হোসেন তুষার।
ঈদের আগের দিন পৌর মেয়র জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য অপসারণ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়। পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাঈম খান বলেন, বিগত কোরবানির ঈদ গুলোর তুলনায় এবারের ঈদে কোরবানি করা পশুর বর্জ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ জানাই পৌর মেয়রকে তাঁর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করায়।
পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মামুন মিয়া জানান, ঈদের দিন পশু কোরবানি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আমাদের এলাকায় আসে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করে বেচিং পাউডার ছিটিয়ে দেন। আমার মনে হয় এবারই বর্জ্য অপসারণে রেকর্ড গড়েছে পৌরসভা।
এজন্য ধন্যবাদ জানাই পৌর মেয়রকে। পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহানাজ বেগম জানান, এবার আর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়নি। অতি দ্রুত ঘোড়াশাল পৌরসভার পরিচ্ছন্ন বিভাগ বর্জ্য অপসারণ করেছে।
পাশাপাশি ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে বেচিং পাউডার। পৌর এলাকার অন্যান্য ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছে, পৌর এলাকাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে শুধু পশু কোরবানির সময় নয় সবসময় ঘোড়াশাল পৌরসভা কাজ করে যাবে এটাই প্রত্যাশা।
এ বিষয়ে ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র মোঃ আল মুজাহিদ হোসেন তুষার বলেন, পৌরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই এবং আমার বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
যা জেলার আর কোথাও এ সময়ের মধ্যে তা সম্ভব হয়নি। এজন্য আমি ঘোড়াশাল পৌরবাসী এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। পৌর এলালার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন দেখতে পেয়েছি। এরপরেও যদি কোথাও বর্জ্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের মনিটরিং সেলকে জানানোর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।
পত্রিকাএকাত্তর /সিয়াম সরকার