দিনাজপুরে দাইনুর সীমান্তে গুলিতে নিহত স্কুল ছাত্র মিনহাজুল ইসলাম মিনারের লাশ ৪দিন বাদে আজ সোমবার (৫ম দিনে) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে হস্হান্তর করেছে বিএসএফ। কচ্ছপের শুটকি বহনের সময় গেল বুধবার রাত ১০টার দিকে ভারতীয় এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহতের ওই ঘটনা ঘটে।
আজ বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিজিবি ২৯ ব্যাটালিয়নের সহায়তায় লাশ গ্রহন করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। পরে লাশ তুলে দেওয়া হয়েছে নিহত মিনারের পিতা জাহাঙ্গীর আলমের কাছে। এর আগে লাশ হস্হান্তরের বিষয়ে আজ সকাল ১০টার দাইনুর বিওপির অপর প্রান্ত ভারতের দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার হরিহরপুরের তেলিয়াপাড়া এলাকায় সীমান্তের ৩১৪ / ৪ এস পিলার এলাকায় রায়গঞ্জ সেক্টরের বিএসএফ সদস্যদের সাথে ফ্লাগ মিটিংয়ে মিলিত হয়েছিলেন বিজবির ২৯ ব্যাটালিয়নের দাইনুর বিওপির সংশ্লিষ্টরা।
এসময় লাশ হস্হান্তরের সময় ক্ষণ নির্ধারন করা হয়েছিল। গেল বুধবার রাত ১০ টার দিকে দাইনুর সীমান্তের হরিপরপুরের তিলয়াপাড়া এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিল মিনহাজুল ইসলাম মিনার। সে দিনাজপুর জেলা সদরের আস্করপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের ভিতরপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের, নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারনে গেল ৪দিন ধরে তার লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
তবে লাশ ফেরত পেতে চারদিন ধরে সীমান্তে অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। পাশাপাশি ছেলেকে চোরাচালানির পন্য পরিবহনের কাজে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং সীমান্তে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ৫ জনের নামে কোতয়ালী থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ পেশ করেছে মিনারুলের মা মিনারা বেগম। কোতয়ালী থানার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম জানান, লাশ গ্রহন করে স্বজনদেন হাতে তুলে দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি মামলা রেকর্ড করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্হা নেবেন তারা।
বিজিবির ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলমগীর কবির জানিয়েছেন, ফ্লাগ মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকাল হত্যাকান্ডের স্হানের পাশেই লাশ তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
পত্রিকা একাত্তর /আরমান হোসেন