কলেজ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি

৬ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

কলেজ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত: বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের লাঞ্চিত সহ ঐ দিনের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান কর্মসুচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার নড়াইল আদালত সড়কে “নীপিড়নের বিরুদ্ধে নড়াইল” এর ব্যানারে এ মানববন্ধন এ কর্মসুচি পালিত হয়।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সংগঠনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলুর সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহেল বাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এস এ মতিন, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির নড়াইলেল সভাপতি অ্যাডঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদ নড়াইলের সভাপতি অ্যাডঃ হেমায়েত উল্লাহ হিরু, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ ওমর ফারুক, সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ মাহমুদুল হাসান কায়েচ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী ইসমাইল হোসেন লিটন, ব্যাবসায়ি আব্দুল মকিত লাবলু সহ অনেকে।

বক্তরা শিক্ষার্থী রাহুল দেবের দৃষ্টান্তমূলল শাস্তি নিশ্চিত করা, ঘটনার উস্কানীদাতা শিক্ষকদের চিহিৃত করে চাকুরি থেকে অব্যহতি দেয়া, সহ ৫ দফা দাবি প্রদান করা হয় এবং এঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও বিচারের দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ওরফে বাপ্পী রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন “প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম”।বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কলেজের ছাত্ররা তাকে সেটি মুছে ফেলতে বলেন।

১৮ জুন সকালে অভিযুক্ত ছাত্র কলেজে এলে তার সহপাঠীরা তাকে গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে অধ্যক্ষের কাছে বিচার চান। ওই সময় ‘অধ্যক্ষ ওই ছাত্রকে রক্ষার চেষ্টায় তার পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে কলেজ ক্যাম্পাসসহ এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এ সময় অভিযুক্ত ছাত্র ও অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস। এ খবর পেয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্দ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষ বাঁধে।

পুলিশ ও ছাত্র-জনতা দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। উত্তেজিত জনতা কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্চিত ও বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।বিক্ষুব্ধ জনতা কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্য দু’শিক্ষকের তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

পত্রিকাএকাত্তর /হাফিজুল নিলু

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news