আষাঢ়ে পুড়ছে গুরুদাসপুর! ঘন ঘন লোডশেডিং

উপজেলা প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর

৫ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

আষাঢ়ে পুড়ছে গুরুদাসপুর! ঘন ঘন লোডশেডিং

চৈত্র, বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাস পেরিয়ে আষাঢ় মাসেও চলছে তীব্র তাপদাহ। আষাঢ় মাসের বৃষ্টি-বাদল নিয়ে একশো বাইশ বছর আগে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন- "নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে/ ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে"।

অথচ এ বছর এই আষাঢ় মাসে গুরুদাসপুরে বৃষ্টির পরিমান খুবই কম। মাঝে মাঝে হলেও স্থায়িত্বকাল কমএক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি খুঁজছেন অনেকে। তাছারা গত কয়েকদিন হলে ঘন ঘন লাগামহীন লোডশেডিং এর কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জনজীবন।একটু স্বস্তির সন্ধানে মরিয়া হয়ে পড়েছে মানুষ।

সাধারণত ইংরেজি জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাই এর মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলা আষাঢ় মাসের স্থায়িত্ব। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে জুন মাসে গরম বেশি পড়ছে।

ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। আমার ছোট বাচ্চা। বড়রাই গরম সহ্য করতে পারছি না। সেক্ষেত্রে ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে," বলছিলেন গুরুদাসপুরের একজন বাসিন্দা সম্পা খাতুন।

কতটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তা জানাতে চাইলে তিনি বলেন,গত কয়েকদিন হলে লোডশেডিং হচ্ছে, অতিরিক্ত গরম "একবার গরমে ঘামছে আবার মুছিয়ে দিচ্ছি। এটাতে ঠান্ডা-গরম লেগে বাচ্চার শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে।"সম্পার মত গরমের ভুক্তভোগী অনেকেই।

তবে দেশের দুই একটি স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও তার স্থায়িত্বকাল খুব কম। আর তাই বৃষ্টিপাতের ফলে যে স্বস্তি ফেরার একটা আশা মানুষের মধ্যে জেগে উঠছে, সেটা ক্ষণিকেই মিলিয়ে যাচ্ছে।

ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণ জানতে চাইলে নাটোর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ গুরুদাসপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ হারুনর রশীদ বলেন, আমাদের সন্ধার পরে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও পাচ্ছি মাত্র ৯ মেগাওয়াট এবং দিনের বেলায় ১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলে পাচ্ছি ৯ মেগাওয়াট।

এতে আমাদের বিদ্যুৎতের যে চাহিদা তার তুলনায় ৫০% দেওয়া হচ্ছে।যার কারনে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।

পত্রিকাএকাত্তর /সোহাগ আরেফিন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news